• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ফেসবুক অ্যাকাউন্ট অস্থায়ীভাবে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে: তসলিমা

তসলিমা নাসরিনের অ্যাকাউন্ট নিস্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে যদিও প্রথম বার নয়, অতীতেও ফেসবুকের তরফে বিতর্কিত লেখিকার অ্যাকাউন্ট নিস্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছিল।

তসলিমা নাসরিন (Photo: SNS)

ফেসবুক থেকে বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিনের অ্যাকাউন্ট নিস্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে যদিও প্রথম বার নয়, অতীতেও ফেসবুকের তরফে বিতর্কিত লেখিকার অ্যাকাউন্ট নিস্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছিল। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, চলতি বছরের ১৬ মার্চ তিনি চব্বিশ ঘন্টার জন্য তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারেননি।

আজ লেখিকা জানান, ‘ফের আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিস্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে। আগামি সাতদিন আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিস্ক্রিয় থাকবে। সত্যি কথা বলার জন্যই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ অ্যাকাউন্টটি নিস্ক্রিয় করে দিয়েছে।

তসলিমা টুইট করে লেখেন, ‘মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা বাংলাদেশের হিন্দু নাগরিকদের বাড়িঘর ও মন্দির ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে। কেননা তারা মনে করেন, হনুমান’জির থাইয়ের ওপর হিন্দুরা কোরান রেখে এসেছিল।

কিন্তু বিষয়টির সত্যতা যখন প্রকাশ্যে আসে, দেখা যায় ইকবাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি মন্দিরের সামনে হনুমান’জির থাইয়ের ওপর কোরান রেখে এসেছিল। পুরো বিষয়টা প্রকাশ্যে আসার পর ইকবালের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

ওই সময়ে বাংলাদেশী শিল্পকলা সামগ্রী স্টোরের সিদ্ধান্তকে আমি সমর্থন করেছিলাম–এটাই আমার ভুল ছিল। সেলসম্যান হিসেবে কাজ করতে গেলে দাড়ি কাটতে হবে কিন্তু এক মুসলিম দাড়ি কাটতে সম্মত না হওয়ায় শিল্পকলা সামগ্রী স্টোর আরং ওই ব্যক্তিকে কাজ দেয়নি।

মুসলিমরা তখন ওই দোকানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল’। ২০১৫ সালেও লেখিকার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিস্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছিল। ফেসবুকের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও ইউজার যদি কোম্পানির ‘হেট স্পিচ’ নীতি লঙ্ঘন করে তাহলে কোম্পানি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট অস্থায়ীভাবে নিস্ক্রিয় করে দেয়।

আমরা মনে করি হেটস্পিচ দিয়ে সরাসরি কোনও ব্যক্তি বা সম্প্রদায়ের ওপর সরাসরি হামলা চালানোক সামিল। ইসলাম বিরোধী মতাদর্শের কারণে বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত হওয়ার পর ১৯৯৪ সাল থেকে তিনি ভারতের আশ্রয়ে রয়েছেন।