২৩ জানুয়ারি ‘দেশনায়ক দিবস’ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিবস বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হচ্ছে রাজ্যে। রেড রোডের অনুষ্ঠানে হাজির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি নেতাজি মূর্তিতে মাল্যদান করেন।
ইন্দ্রনীল সেনের গানের মধ্যে দিয়ে নেতাজির জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। শঙ্খধ্বনি, সাইরেন বাজিয়ে এদিন অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত রয়েছেন অনুষ্ঠানে। নেতাজিকে স্মরণ করে গান গাইতে দেখা যায় সুগত বসুকে।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, ‘নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আদর্শকে স্মরণ করে আমরা আজাদ হিন্দ মনুমেন্ট তৈরি করছি। নেতাজির নামে উৎসর্গ করে জয় হিন্দ বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হচ্ছে বাংলায়। জাতীয় প্ল্যানিং কমিশনের আদলে তৈরি হচ্ছে বেঙ্গল প্ল্যানিং কমিশন।
এই প্ল্যানিং কমিশন ছিল নেতাজির মস্তিষ্ক সূচিত। এই কমিশন তুলে দেওয়া লজ্জাজনক। এন সিসি-র কায়দায় স্কুলে স্কুলে জয় হিন্দ বাহিনী আমরা গড়ে তুলব। স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষ উপলক্ষে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার অবদান সম্পর্কিত তথ্য তুলে ধরা হবে প্রদর্শনীর মাধ্যমে।
তিনি এদিন বলেন, ‘ইচ্ছা ছিল আজ পদযাত্রা করব। কিন্তু, কোভিড পরিস্থিতিতে তোতা সম্ভব হল না ‘২৩ জানুয়ারি হোক ‘দেশনায়ক দিবস ফের কেন্দ্রের কাছে আবেদন মমতার একইসঙ্গে প্রজাতন্ত্র দিবসে পশ্চিমবাংলার প্রস্তাবিত নেতাজি ট্যাবলো বাতিল করা নিয়েও এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
নাম না করেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘নাই বা হল জায়গা তাঁর দিল্লিতে। বাংলায় তো তিনি থাকবেনই। আর বাংলা সারা বিশ্বকে পথ দেখায়। এবারেও দেখাবে।’ সক্রিয় মমতার যুদ্ধে বিজেপি রাজ্যও সামিল এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘নেতাজি কেবল বাংলার নয়, তিনি গোটা বিশ্বের।’
ইন্ডিয়া গেটে নেতাজির মূর্তি বসানো নিয়ে মমতা বলেছেন, ‘আজ বাংলাকে এত অবজ্ঞা কেন? বাংলার ইতিহাস মুছে দেওয়ার ক্ষমতা কারও নেই। একটা মূর্তি গড়লেই নেতাজিকে ভালবাসা যায় না। অমর জ্যোতি নিভিয়ে নেতাজির মূর্তি বসালে দেশপ্রেম হয় না।
ওয়ার মেমোরিয়াল নিয়ে এখন রাজনীতি হচ্ছে। আমি মা-মাটি-মানুষ নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না। প্রজাতন্ত্র দিবসে একটা নেতাজির ট্যাবলো থাকলে কী অসুবিধে হত?
এতদিন পর কেন নেতাজির স্ট্যাচু তৈরির কথা মনে পড়ল? দেশের সব ঐতিহ্য নষ্ট করে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। নেতাজির ট্যাবলো কেন বাতিল করেছেন, আমাদের জানানো হয়নি। নেতাজির ট্যাবলো আমাদের রেড রোডে চলবে।’