ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমন করা না গেলে এই দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না। নিউইয়র্কে এশিয়া সোসাইটি পলিসি ইনস্টিটিউট-একথা বলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর৷ তিনি বলেন, এই মুহূর্তে চিনের সেনাবাহিনী ভারত-চিন সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে সরলেও আরও বড় সমস্যা সীমান্তে উত্তেজনা৷ সেখানে শান্তির বিষয়টি সুনিশ্চিত না-হওয়া পর্যন্ত ভারত-চিন সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না ৷
এস জয়শঙ্করের কথায়, এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে তিক্ত সম্পর্কের মূল কারণই হল আন্তর্জাতিক সীমান্ত বিতর্ক৷ সীমান্ত এবং সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকলে তখনই অন্য বিষয়ে চিনের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হতে পারে বলে স্পষ্ট জানান বিদেশমন্ত্রী৷
বর্তমানে ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যা প্রসঙ্গে এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘এই ঝামেলার ৭৫ শতাংশ সমস্যা মিটেছে ৷ এটা বলছি, কারণ এখন সীমান্ত এলাকা থেকে চিন শুধুমাত্র সেনা সরানোয় সমস্যার একটা পর্বের সমাধান হয়েছে ৷ এই মুহূর্তে চিন্তার আরও একটি বিষয় সীমান্তে প্রহরা ৷ দু’পক্ষই কীভাবে এলএসি-তে পাহারা দেবে সেই বিষয়টি নিয়ে ভাবনা রয়েছে ৷ ২০২০ সালের পর এলএসি-তে প্রহরার ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে গিয়েছে৷ এই প্রহরার বিষয়টিরও সমাধান প্রয়োজন বলে মনে করেন বিদেশমন্ত্রী৷’
ভারত-চিন সীমান্ত ৩ হাজার ৫০০ কিমি দীর্ঘ এবং পুরোটা নিয়েই বিতর্ক রয়েছে ৷ সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে একের পর এক চুক্তি হয়েছে চিনের সঙ্গে ৷ এই প্রসঙ্গে এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘সীমান্তে শান্তি সুনিশ্চিত করতে পরপর ১৯৯৩, ১৯৯৬, ২০০৫, ও ২০০৬ সালে চুক্তি হয়েছে৷ সীমান্তে শান্তি ফেরানো নিয়ে প্রতিটি চুক্তিতে বিস্তারিত জানানো হয়েছে৷’
প্রসঙ্গত ভারত ও চিন এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী দেশই বিশ্বে সমান্তরাল ভাবে গুরুত্বপূর্ণ দুটি শক্তি। দুই দেশেরই জনসংখ্যা ১০০ কোটিরও বেশি। কিন্তু ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত বিতর্ক চলতে থাকায় উত্তেজনা রয়েছে। সীমান্ত সমস্যার সমাধান ঘটলে দুই দেশের সম্পর্কই উন্নত হবে বলে আশা রাখেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।