• facebook
  • twitter
Sunday, 12 January, 2025

ট্রাম্পের শপথে যাচ্ছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর

ট্রাম্প ও মোদীর সখ্যতার কথা নতুন নয়। নির্বাচনে জয়লাভের পর ট্রাম্পকে মোদী প্রিয় বন্ধু বলে সম্বোধন করে লিখেছিলেন, 'ঐতিহাসিক জয়ের জন্য প্রিয় বন্ধু ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অনেক শুভেচ্ছা। আমি আগামিদিনে তাঁর সাফল্য কামনা করি।'

ফাইল চিত্র

তিনি কি অনাহুত? তাই কি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ডাক পাননি নরেন্দ্র মোদী। অথচ তিনি বারবারই বলে থাকেন, ট্রাম্প তাঁর বিশেষ বন্ধু। এই আমন্ত্রণ না পাওয়া নিয়ে বিরোধীরা যখন কটাক্ষ করছেন। এমনকি তৃণমূল সংসদ মহুয়া মৈত্র সমাজ মাধ্যমে ব্যঙ্গ করে লিখেছেন, ‘এটা কি সত্যি যে, ‘আমার বন্ধু ডোনাল্ড ট্রাম্প’ এখনও মোদীকে তাঁর ২০ জানুয়ারি হতে চলা শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করেননি।’ আমন্ত্রণ আসবে কি আসবে না এই জল্পনা যখন তুঙ্গে উঠেছে তখন জানা গেলো মোদী নয় ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্টের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। রবিবার একটি বিবৃতি দিয়ে বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পৌঁছে গেছে। ভারত সরকারের প্রতিনিধি হয়ে সেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাবেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর।

২০ জানুয়ারি সোমবার আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নিতে চলেছেন ট্রাম্প। দেশ-বিদেশের অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত থাকবেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তবে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শুধু নয়, মার্কিন সফরে গিয়ে সে দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকও করবেন তিনি। এমনই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে।

ট্রাম্প ও মোদীর সখ্যতার কথা নতুন নয়। নির্বাচনে জয়লাভের পর ট্রাম্পকে মোদী প্রিয় বন্ধু বলে সম্বোধন করে লিখেছিলেন, ‘ঐতিহাসিক জয়ের জন্য প্রিয় বন্ধু ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অনেক শুভেচ্ছা। আমি আগামিদিনে তাঁর সাফল্য কামনা করি।’ এরপর থেকে সকলেই ধরে নিয়েছিল ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণ পাকা। ডিসেম্বরে মার্কিন সফরে গিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। তখনই মনে হয়েছিল একেবারে আমন্ত্রণ পত্র নিয়েই তিনি ফিরবেন। এই প্রসঙ্গে মোদী সরকারকে কটাক্ষ করেছিলেন বিজেপিরই রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডলে লিখেছিলেন, ‘বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে আমেরিকা পাঠাচ্ছেন ওই আমন্ত্রণটি জোগাড় করে আনতে।’ কিন্তু বাস্তবে দেখা গেলো মোদী নয় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকছেন এস জয়শঙ্কর। তবে বিষয়টা অন্যভাবে দেখছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। তাঁরা চাইছেন দুই দেশের মত বিনিময়ের পথটা সুগম রাখতে ও আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ককে মজবুত করতে জয়শঙ্করের থাকাটাই আবশ্যক।

জয়শঙ্কর ছাড়া আরও যে সমস্ত অতিথিরা সেদিন উপস্থিত থাকবেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আর্জেন্টিনার প্রসিডেন্ট জাভিয়ের মিলেই, জাপানের বিদেশমন্ত্রী তাকেশি ইওয়াইয়া, ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি প্রমুখ। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকেও। তিনি না এলেও উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিদের পাঠাবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।