দিল্লি, ৫ জুন– ইভিএম খুলতেই ১৫ মিনিটে হাওয়া হয়ে গিয়েছিল ২১ লক্ষ কোটি৷ মঙ্গলবারের ভোট গণনা শুরু হতেই বিনা মেঘে বজ্রপাত দেখেছিল শেয়ার বাজার৷ এদিন সকাল থেকেই ক্রমে পতন সেনসেক্স এবং নিফটিতে৷ একসময় পতনের অঙ্ক ছহাজার পার করে যায় যা সাম্প্রতিককালে দেখা যায়নি৷ রাতারাতি বাজার থেকে উধাও ৩০ লক্ষ কোটি টাকা৷
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কোভিড অতিমারীর পর থেকে এত খারাপ অবস্থা হয়নি বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের৷ গত চার বছরে এটাই ছিল শেয়ার বাজারের নিকৃষ্টতম পারফরম্যান্স৷ পরিসংখ্যান বলছে, ১৩ শতাংশ লোকসান হয়েছে পিএসইউ ব্যাঙ্কের শেয়ারে৷ বড় ক্ষতি হয়েছে আদানি গোষ্ঠী এবং রিলায়েন্স গোষ্ঠীর৷
কিন্তু বাজারের এই পতন নাকি স্বাভাবিক নয়৷ এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন রীতিমতো প্ল্যান করে বাজার থেকে এই ৩০ লক্ষ কোটি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে৷ শনিবার শেষ দফার ভোটের পর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং সমীক্ষা সংস্থার করা এগজিট পোলে দেখা গিয়েছিল বিপুল ভোটে জিতে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরছে মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ৷ যা মঙ্গলবার সকালে কার্যত ধূলিসাৎ হয়ে যায়৷ ইন্ডিয়া জোটের সমানে-সমানে টক্কর দেওয়া শুরু হতেই পতন হতে থাকে শেয়ার বাজার সূচকেও৷ তবে শনিবারের এগজিট পোলে বিজেপি তথা এনডিএ-এ বিপুল ভোটে এগিয়ে রাখা নাকি আদ্যন্ত একটি পরিকল্পিত চক্রান্ত বা কেলেঙ্কারি বলেই জানা যাচ্ছে৷ এই ৩০ লক্ষ কোটি টাকা ঘরে তুলতেই এগজিট পোলের ফল ওভাবে দেখানো হয়েছিল৷ যার লক্ষ্য ছিল ফলের দুদিন আগেই শেয়ার বাজারে গতি এনে বাজার উর্ধ্বমুখী করা৷ বাজারে গতি এনে মুনাফাও ঘরে তুলে নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা৷
এগজিট পোলের ফলে দেখা গিয়েছিল, প্রায় চারশো আসন ছুঁয়ে ফেলতে পারে এনডিএ৷ তার ভিত্তিতেই একলাফে দুহাজার পয়েন্টেরও বেশি বেড়ে যায় সেনসেক্স৷ সর্বকালের সেরা সূচক ছুঁয়ে ফেলে৷ নজির গড়ে নিফটির সূচকও৷ কিন্ত্ত মঙ্গলবার ভোটগণনা শুরু হতেই পালটে যায় ছবিটা৷ সেখান থেকেই শুরু হয় শেয়ার বাজারের পতন৷ বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গে ২ হাজার ৮০০ পয়েন্টেরও বেশি পড়ে যায় সেনসেক্স৷ যত বেলা গড়িয়েছে ততই শেয়ার বাজারে ধস নেমেছে৷ একটা সময়ে ছহাজারেরও বেশি পডে় গিয়েছিল সেনসেক্স৷