মোদির বিরুদ্ধে জমা পড়া বিধিভঙ্গের অভিযোগ গায়েব কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে

নরেন্দ্র মোদি (ছবি-IANS)

নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযােগ একের পর এক উঠেই চলছে সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কিন্তু কমিশনে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযােগ জমা পড়তেই তা গায়েব হয়ে গিয়েছে বলে খবর।মহারাষ্ট্রের লাতুরে একটি নির্বাচনী জনসভায় মােদির বক্তব্য নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করেছিল বলে অভিযোগ জানানাে হয়েছিল।কিন্তু নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে বেমালুম হাওয়া হয়ে গিয়েছে সেই অভিযােগগুলি।

নির্বাচনী প্রচার নিয়ে এ পর্যন্ত মােট ৪২৬টি অভিযােগ জানানাে হয়েছিল।তালিকাটি নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটেই প্রকাশ্যে পাওয়া যায়।কিন্তু গত ৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির বিরুদ্ধে ওঠা এমনই একটি অভিযােগ ঐ তালিকায় আর দেখা যাচ্ছে না।কলকাতার জনৈক মহেন্দ্র সিং ঐ অভিযােগ দায়ের করেছিলেন।মহারাষ্ট্রের লাতুরে মােদির একটি সমাবেশে পুলওয়ামার শহিদ জওয়ানদের স্মৃতি এবং পাকিস্তানকে বালাকোটে দেওয়া যােগ্য জবাবের নিরিখে ভােট দিতে বলেছিলেন।

এই ঘটনায় আজ দুপুরের মধ্যে মহারাষ্ট্রের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের কাছে ওই ঘটনার একটি ভাষ্য প্রতিলিপি চেয়ে পাঠায় নির্বাচন কমিশন।অভিযােগের অবস্থা নিয়েও বিভ্রান্তি রয়েছে।


মহেন্দ্র সিং বলেছেন,তাঁর অভিযােগের অবস্থা কী তা জানার জন্য তিনি যখন লগ-ইন করেন, তাঁকে দেখানাে হয় যে তাঁর অভিযােগের সমাধান হয়ে গিয়েছে।বুধবার সন্ধ্যায় কমিশন জানায়, ‘সমাধান হয়ে গিয়েছে’র বদলে পাের্টালটিতে দেখানাে উচিত ছিল অভিযােগটি নির্বাচন কমিশনের সদর দপ্তরে পাঠানাে হয়েছে।নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে,বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন মহারাষ্ট্রের সিইও।কমিশনের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে বিষয়টি ভুলভাবে দেখানাে হয়েছে।অভিযােগটি সবাই দেখতে পাবে,এমন অবস্থায়ই ছিল।এই কারণেই মহারাষ্ট্রের সিইওর কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।

কিন্তু ২ সপ্তাহ পার হয়ে যাওয়ার পরেও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযােগ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের তরফে কোনাে ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি।এই সময়ের মধ্যে নরেন্দ্র মােদি একাধিকবার জনসভায় পুলওয়ামা ও বালাকোটের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছে।নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানানাে হয়েছে লােকসভা নির্বাচনের তিনটি দফা ভােট শেষ হয়েছে।সাতটি পর্যায় ১৯ মে শেষ হবে। ফলাফল ঘোষণা হবে ২৩ মে।