ভারত সতর্কতার সঙ্গে আমেরিকার চাপানো পাল্টা-শুল্ক নিয়ে আলোচনা ও বিশ্লেষণ করছে। বৃহস্পতিবার এমনই বিবৃতি দিয়েছে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রক। আমেরিকার শুল্ক চাপানোর প্রতিক্রিয়া ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মহলের উপর কী প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে চাপা উত্তেজনা ছিলই। বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, আমেরিকার প্রতিটি পদক্ষেপ অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পর্যালোচনা করে দেখছে কেন্দ্র। যত দ্রুত সম্ভব, দেশের শিল্প ও রপ্তানিকারক সংস্থার সঙ্গে কথা বলে শুল্ক পরিস্থিতির মূল্যায়ণ করে দেখা হবে।
শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রক তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রতিটি পদক্ষেপ সতর্কতার সঙ্গে খতিয়ে দেখছি। প্রধানমন্ত্রীর বিকশিত ভারত-এর কাঠামোকে বজায় রেখে সমস্ত ভারতীয় শিল্প ও রপ্তানিকারক সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। সকলের কাছ থেকেই তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা চলছে। সবকিছু বিশ্লেষণ করে মূল্যায়ণ করা হবে। এর পাশাপাশি, মার্কিন বাণিজ্য নীতিতে এই বদলের ফলে ভারতের সামনে কী কী সুযোগ আসতে পারে, তাও খতিয়ে দেখছে কেন্দ্র।’
এদিকে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে নতুন একটি বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে। আমেরিকার বাণিজ্য নীতিতে এই নতুন উন্নয়নের ক্ষেত্রে সুযোগগুলি সম্পর্কে আলোচনা চলছে। বাণিজ্য চুক্তির প্রথম পর্যায়ের কাজ করার জন্য ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প এবং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে কথাও হয়। দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘ এই আলোচনা উভয় দেশকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তি হস্তান্তর বাড়াতে সাহায্য করবে। আমরা এই বিষয়গুলো নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি এবং আগামী দিনগুলোতে এগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আশা করছি।
আগামী ৫ এপ্রিল থেকে আমেরিকায় রপ্তানি করা সমস্ত পণ্যের উপর সর্বজনীন ১০ শতাংশ শুল্ক ধার্য হবে। দেশ-ভিত্তিক বাকি শুল্ক ০৯ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে। বৃহস্পতিবার ট্রাম্প ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের উপর ২৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। ফলে অদূর ভবিষ্যতে ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য সম্পর্কে এই শুল্ক আরোপ কী প্রভাব ফেলবে তা খতিয়ে দেখছে কেন্দ্র।