• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

‘ প্রত্যেক মানুষের ঘুমানোর অধিকার রয়েছে, ‘  ইডির বিরুদ্ধে মামলায় জানাল বম্বে হাই কোর্ট

মুম্বাই, ১৬ এপ্রিল – প্রতিটি মানুষের ঘুমানোর অধিকার রয়েছে। ঘুম প্রত্যেক মানুষের একটি মৌলিক চাহিদা। ইডির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় এই কথা সাফ জানিয়ে দিল বম্বে হাই কোর্ট। সোমবার আদালতের তরফে জানানো হয়, রাতের বেলা ঘুমানোর অধিকার সকলেরই রয়েছে। তাই গভীর রাত পর্যন্ত কাউকে জেরা করা বা বয়ান রেকর্ড করা উচিত নয়, এটা লঙ্ঘণ করা

মুম্বাই, ১৬ এপ্রিল – প্রতিটি মানুষের ঘুমানোর অধিকার রয়েছে। ঘুম প্রত্যেক মানুষের একটি মৌলিক চাহিদা। ইডির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় এই কথা সাফ জানিয়ে দিল বম্বে হাই কোর্ট। সোমবার আদালতের তরফে জানানো হয়, রাতের বেলা ঘুমানোর অধিকার সকলেরই রয়েছে। তাই গভীর রাত পর্যন্ত কাউকে জেরা করা বা বয়ান রেকর্ড করা উচিত নয়, এটা লঙ্ঘণ করা যায় না। ভোর সাড়ে তিনটে অবধি ইডির জিজ্ঞাসাবাদ সংক্রান্ত বিষয়ে একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এই পর্যবেক্ষণের কথা জানায় বম্বে হাইকোর্ট। 
 

আর্থিক তছরূপের মামলায় রাম ইসরানি নামে ৬৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ইডি। ইডির গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে বম্বে হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন রাম ইসরানি নামে ওই ব্যক্তি। তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছিল। গত আগস্টে তাঁকে তলব করে ইডি। হাজিরা দিতেই তাঁকে দীর্ঘ সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। রাত সাড়ে তিনটে পর্যন্ত তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়। তার পরে গ্রেপ্তার করা হয় রামকে। সেই গ্রেপ্তারির বিরোধিতা করে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।

মামলাকারী অভিযোগ করেন, ৮ অগস্ট ভোর সাড়ে ৫টায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ইসরানির আইনজীবী আদালতকে জানান, সারারাত তাঁর মক্কেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদে ইসরানির ‘ঘুমের অধিকার’ লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে আদালতে জানান আইনজীবী। বলেন, সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদে জীবনের যে অধিকারের কথা বলা হয়েছে, তা এক্ষেত্রে তা মান্যতা পায়নি। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ঘুমের অধিকার মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। ঘুমের অভাব মানুষের স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলতে পারে। মানসিক ক্ষমতাও প্রভাবিত হয়। তাই কোনও ব্যক্তিকে ঘুমের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যায় না। বয়ান তো দিনের বেলাও নেওয়া যায়।


সেই মামলার শুনানির সময়েই ঘুমের অধিকারের বিষয়টি উল্লেখ করে বম্বে হাই কোর্ট। সেই সময় ইডির আইনজীবী জানান, রামের অনুমতি নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। এই বক্তব্যের পর দুই বিচারপতির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, “অনুমতি নিয়ে হোক বা অন্য কোনওভাবে হোক, যেভাবে অভিযুক্তের বয়ান নেওয়া হয়েছে সেটা খুবই নিন্দনীয়। মাঝরাত পেরিয়ে সাড়ে তিনটে পর্যন্ত জেরা করা হয়েছে। তলব করা হলেও অভিযুক্তকে সঠিক সময়ে ঘুমোতে দেওয়া উচিত। কারণ প্রত্যেকেরই ঘুমের অধিকার রয়েছে। মাঝরাত অবধি জেরা করলে অবশ্যই কোনও ব্যক্তির চেতনায় সমস্যা হয়।” 
 
তবে এই গ্রেপ্তারির বিরোধিতা করে দায়ের হওয়া মামলা খারিজ করে দিয়েছে বম্বে হাই কোর্ট।