জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বিরুদ্ধে আবেদন করা হল সুপ্রিম কোর্টে। সেই সঙ্গে দ্রুত শুনানির আর্জি জানান হয়েছে এই আবেদনে। শীর্ষ আদালতে মামলার আবেদনকারী আইনজীবী এম এল শর্মা জানিয়েছেন, এই মামলার দ্রুত শুনানি হােক। কারণ পাকিস্তান বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে যাওয়ার আভাস আগেই দিয়ে রেখেছে।
বিচারপতি এন ভি রামান্নার বেঞ্চ দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন। আবেদনকারীর কাছে বিচারপতি জানতে চান, রাষ্ট্রসংঘ কি সংসদে সংশােধনী বিল পাশ আটকাতে পারবে? জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলােপের কেন্দ্র সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে আবেদন করা হয় মঙ্গলবার। সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে বেআইনি বলে ঘােষণা করার জন্য আবেদন জানান ওই আইনজীবী। কিন্তু তার আবেদন খারিজ হয়ে যায় আজ।
তিনি আবেদনে উল্লেখ করেন, কাশ্মীরি নেতাদের বলপূর্বক গৃহবন্দি করে এই বিল পাশ করানো হয়েছে। তাছাড়া রাষ্ট্রসংঘে বিষয়টি ওঠার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সেই সময় বিচারপতি রামান্না জানান, এই বিলের বিরােধিতা করে যে কেউ রাষ্ট্রসংঘে যেতে পারে। কিন্তু রাষ্ট্রসংঘ কি কোনও সংবিধানিক ধারার ওপর স্থগিতাদেশ আনতে পারে।
আবেদনকারী সুপ্রিম কোর্টের আবেদনে জানিয়েছেন, কোনও আলােচনা ছাড়াই ৩৭০ ধারা বাতিল করা হয়েছে। তবে কেন্দ্র সরকারের যুক্তি ছিল, জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভার অস্তিত্ব নেই। সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি রয়েছে। তাই রাষ্ট্রপতি ক্ষমতাবলেই ৩৭০ বিলােপের নির্দেশিকায় সই করেছেন।
উপত্যকায় বিপুল আধাসেনা মােতায়েনের সঙ্গে কার্ফু জারি রাখার প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন সমাজকর্মী তেহসিন পুনাওয়ালা। এই মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন করেছেন। সেই সঙ্গে দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এবং মেহবুবা মুফতিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য শীর্ষ আদালতকে অনুরােধ করেছেন তিনি।