জম্মু-কাশ্মীর, হরিয়ানার বিধানসভা ভোট মিটতেই ফের দেশে বাজতে চলেছে নির্বাচনের দামামা। আজ, মঙ্গলবার বিকেলে মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশনের পক্ষ থেকে ভোটের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সেই কারণে আজ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সাংবাদিক সম্মেলনে ভোটের ঘোষণা করবেন।
২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভার মেয়াদ ২৬ নভেম্বর শেষ হবে। আর ৮১ আসন বিশিষ্ট ঝাড়খণ্ড বিধানসভার মেয়াদ শেষ হবে ২০২৫ সালে ৫ জানুয়ারি। প্রায় ৫০টি আসনে উপনির্বাচনের তারিখও ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে ওয়েনাড লোকসভা আসনও রয়েছে। এই আসন থেকে জিতেছিলেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। তিনি আমেঠি থেকে নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। দুটি আসনেই জয়ী হন তিনি। পরে দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওয়েনাড আসনটি ছেড়ে দেন। কংগ্রেস ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ওয়েনাডে প্রার্থী হবেন।
নির্বাচন কমিশন আগস্টে হরিয়ানা ও জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচন ঘোষণা করেছিল। সেই সময় মনে করা হয়েছিল, কমিশন মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনেরও নির্ঘণ্ট ঘোষণা করবে, কিন্তু তা হয়নি। এর আগে হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে অন্তত তিনবার একসঙ্গে নির্বাচন হয়েছে।
সম্প্রতি মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে কমিশনের দল ঝাড়খণ্ড সফর করেছে। নির্বাচন নিয়ে সব দলের মতামত নেওয়া হয়েছে। দীপাবলি, ছটের জন্য নেতারা ১৫ নভেম্বরের পর নির্বাচন করার অনুরোধ করেছিলেন। ছট পুজো ৮ নভেম্বর। সেক্ষেত্রে, ছট পুজোর পর নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঝাড়খণ্ড এবং মহারাষ্ট্রে দুই বা তার বেশি ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মহারাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন জোট মহাযুতিতে রয়েছে বিজেপি, শিবসেনা এবং এনসিপি। এই জোট কংগ্রেস, শরদ পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপি (এনসিপি-এসপি) এবং উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা (ইউবিটি) অন্তর্ভুক্ত মহা বিকাশ আঘাদির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
ঝাড়খণ্ডের ক্ষমতাসীন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) ইন্ডিয়া জোটের অংশ। ইন্ডিয়া জোট ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন এনডিএ বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। বিজেপি ছাড়াও অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (এজেএসইউ) এবং জনতা দল (ইউনাইটেড) এনডিএ-তে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।