• facebook
  • twitter
Thursday, 19 September, 2024

আজ তিন রাজ্যে বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন

জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচনের দিনক্ষণও ঘোষণা করা হতে পারে

লোকসভা ভোট মিটতেই বাজতে চলেছে বিধানসভা ভোটের দামানা। আজ, শুক্রবার বিকেল তিনটে নাগাদ হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচনের দিনক্ষণও ঘোষণা করা হতে পারে।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, রাজ্যগুলির বিধানসভার সাধারণ নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতে সাংবাদিক বৈঠক করবে তারা।

আগামী পাঁচ মাসের মধ্যে হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন। মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানা বিধানসভার মেয়াদ শেষ হবে যথাক্রমে ৩ নভেম্বর ও ২৬ নভেম্বর। ঝাড়খণ্ড বিধাসভার মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের (২০২৫) জানুয়ারিতে।

এদিকে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচন করতে হবে। মনে করা হচ্ছে, আজ কমিশনের তরফে জম্মু-কাশ্মীরে ভোট সংক্রান্ত ঘোষণা করা হবে। ২০১৮ সাল থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে কোনও নির্বাচিত সরকার নেই।

এর আগে কমিশন একসঙ্গে মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচন করেছে। ঝাড়খণ্ডের নির্বাচন পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে মনোনয়ন দাখিল, ভোটের দিন এবং ফলাফল ঘোষণাসহ নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বিভিন্ন পর্যায়ের তারিখ ঘোষণা করা হবে।

ভোটের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীর এবং হরিয়ানা সফর করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে যায়নি কমিশনের আধিকারিকরা।

গত সপ্তাহে, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বলেন, নির্বাচন কমিশন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচন করতে ‘প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জনগণ ‘বিশৃঙ্খলাকারী শক্তি’-কে এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে উপযুক্ত জবাব দেবে।

২০১৯ সালে পূর্বতন রাজ্যটিকে (জম্মু-কাশ্মীর) দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ৩৭০ অনুচ্ছেদের অধীনে এর বিশেষ মর্যাদা বাতিল করা হয়েছিল। তারপর থেকে জম্মু ও কাশ্মীর লেফটেন্যান্ট গভর্নরের শাসনে রয়েছে।

এদিকে বিধানসভা ভোট ঘোষণার আগে বিরোধীদের জোট ইন্ডিয়ায় বিদ্রোহ দেখা গিয়েছে। কাশ্মীরের সবচেয়ে বড় বিরোধী দল ন্যাশনাল কনফারেন্স একলা লড়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। দলের নেতা ফারুক আবদুল্লা বলেছেন, কমিশনের ভোট ঘোষণার সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। আমি নিজে ভোটে লড়ব। আমরা নিজেদের ক্ষমতায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাব।