• facebook
  • twitter
Sunday, 8 September, 2024

ইভিএমে কারচুপি রুখতে উদ্যোগী নির্বাচন কমিশন 

 দিল্লি, ২৯ মে – ভোটে কোনরকম জালিয়াতি বা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কোন কারচুপি হয়েছে কি না তা  নিশ্চিত ভাবে জানতে উদ্যোগী হয়েছে নির্বাচন কমিশন। যদিও এ সংক্রান্ত নির্দেশ দিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। ভোটের ফল প্রকাশের পর ইভিএম পরীক্ষার আবেদন করতে পারবেন প্রার্থী। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা প্রার্থীরা এই আবেদন করতে পারবেন কমিশনের কাছে। এর জন্য নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা

 দিল্লি, ২৯ মে – ভোটে কোনরকম জালিয়াতি বা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কোন কারচুপি হয়েছে কি না তা  নিশ্চিত ভাবে জানতে উদ্যোগী হয়েছে নির্বাচন কমিশন। যদিও এ সংক্রান্ত নির্দেশ দিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। ভোটের ফল প্রকাশের পর ইভিএম পরীক্ষার আবেদন করতে পারবেন প্রার্থী। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা প্রার্থীরা এই আবেদন করতে পারবেন কমিশনের কাছে। এর জন্য নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা ও অভিযোগের বয়ান জমা দিতে হবে নির্বাচন কমিশনের কাছে। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তবে টাকা ফেরত দেবে কমিশন।
প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের ৫ শতাংশ বুথে এই পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ দেওয়া হবে। কোনও মেশিনে কোন প্রতীকে কতবার বোতাম টেপা হয়েছে, ভিভিপ্যাটে তার ক’বার প্রতিফলন ঘটেছে, ইত্যাদি খতিয়ে দেখবেন ইঞ্জিনিয়াররা। ইভিএমের মাইক্রো-কন্ট্রোলারের ‘বার্নট মেমারি’ পরীক্ষার সুযোগ পাবেন পরাজিত প্রার্থীরা। ইঞ্জিনিয়াররাই এটা পরীক্ষা করে জানাতে পারেন। ভোটের ফল ঘোষণার পর আবেদন করলে ইভিএম প্রস্তুতকারক সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত ‘ইলেকট্রনিক কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড’-এর ইঞ্জিনিয়াররা তা পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেবেন।

তবে সব পরাজিত প্রার্থীদের জন্য এই সুযোগ নয়। ফলাফলে যাঁরা দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্থানে থাকবেন, তাঁরাই গণনা শেষের সাত দিনের মধ্যে এই ক্রস-ভেরিফিকেশনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ জন্য আবেদনকারীদের কমিশনকে ফি দিতে হবে। মেশিনে জালিয়াতির কোনরকম অভিযোগ প্রমাণিত হলে কমিশন ওই ফি ফেরত দিয়ে দেবে। তবে এই নিয়ে নির্দিষ্ট গাইডলাইন এখনও প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন।
গণনার সময়ে প্রতি বিধানসভা কেন্দ্রের পাঁচটি বুথে ইভিএমের ভোট এবং ভিভিপ্যাটের স্লিপ যাচাইয়ের যে ব্যবস্থা কমিশন চালু রেখেছে, তা-ও থাকবে। ইভিএমে ভোট নিয়ে নানা সময়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিরোধীরা,  তা দূর করতে পরাজিত প্রার্থীর ক্রস-ভেরিফিকেশনের আর্জিতে এমন ব্যবস্থার নির্দেশ কমিশনকে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।

ইভিএম-এ কারচুপি নিয়ে বারংবার অভিযোগ উঠেছে। সুপ্রিম কোর্টেও মামলা হয়েছে ইভিএম হ্যাকিং নিয়ে। শীর্ষ আদালতে সেই মামলা খারিজ হয়ে গেলেও রাজনৈতিক দলগুলির ইভিএম নিয়ে এই অভিযোগ মেটাতেই এবার বড় পদক্ষেপ করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তবে এর আগে নির্বাচন কমিশন বারবার  দাবি করেছে, ইভিএমে কোনওভাবে কারচুপি  করা সম্ভব নয়। কিন্তু বিরোধীরা যেভাবে অভিযোগ তুলছে, তাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে বিরূপ ধারণা তৈরি হচ্ছে। সেই  ভ্রান্ত ধারণা দূর করতেই ইভিএম পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের। কমিশন জানিয়েছে, ভোট-গণনায় জড়িত আধিকারিকদের কর্মশালায় বিষয়টি বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

লোকসভা ভোটের ষষ্ঠ দফায় বহু  অভিযোগ জমা পড়ছে নির্বাচন কমিশনে। আর সেই অভিযোগে সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম পরিস্থিতি কমিশনের। নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যানে জানা গেছে , ওই দিন সন্ধে পর্যন্ত তাদের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে মোট ২১০০টি। এর মধ্যে বিজেপি ২২৩টি, সিপিএম ১৩২টি, তৃণমূল কংগ্রেস ৯টি, কংগ্রেস ২টি অভিযোগ করে ।