• facebook
  • twitter
Wednesday, 2 April, 2025

সাইবার প্রতারণা, ৫০ লক্ষ খুইয়ে আত্মহত্যা বৃদ্ধ দম্পতির

সাইবার প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ৫০ লক্ষ টাকা খোওয়া যায় বৃদ্ধ দম্পতির। সারা জীবনের সঞ্চিত সেই টাকা হারিয়ে সহ্য করতে পারেননি বৃদ্ধ দম্পতি।

প্রতীকী ছবি

সাইবার প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ৫০ লক্ষ টাকা খোওয়া যায় বৃদ্ধ দম্পতির। সারা জীবনের সঞ্চিত সেই টাকা হারিয়ে সহ্য করতে পারেননি বৃদ্ধ দম্পতি। শোকে আত্মঘাতী হয়েছেন ২ জনেই। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে কর্নাটকে। আত্মহত্যার আগে চিঠিও লিখে যান ওই দম্পতি। সেই চিঠি উদ্ধারের পরই সাইবার প্রতারণার বিষয়টি জানতে পারে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার তাঁদের বাড়ি থেকেই দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।ুকর্নাটকের বেলাগাভি জেলার খানাপুর তালুকের বাসিন্দা ৮২ বছরের ডিওডেরন সান্তান নাজারেথ এবং তাঁর স্ত্রী ফ্লাভাইনা, বয়স ৭৯, নিঃসন্তান ছিলেন। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে তাঁদের দেখতে না পাওয়ায় সন্দেহ বাড়ছিল। তাই বাড়িতে গিয়ে ডাকাডাকি করা হয়। তখনও সাড়া না দেওয়ায় তাঁরা পুলিশ ডাকেন।

সান্তান মহারাষ্ট্রে সরকারি কর্মচারী ছিলেন। তাঁর হাতে ও ঘাড়ে ছুরির আঘাত মিলেছে। পুলিশের অনুমান, প্রথমে তিনি হাত কাটার চেষ্টা করেছিলেন। তারপর ঘাড়ে ছুরির কোপ মেরে আত্মহত্যা করেন। তাঁর স্ত্রী বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অনুমান। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে দুজনের মৃত্যুর আসল কারণ স্পষ্ট হবে।

সুইসাইড নোটে দম্পতি লিখে গেছেন, সুমিত এবং অনিল যাদব নামে দুজন তাঁদের টেলিকম বিভাগের কর্মী পরিচয় দিয়ে ফোন করেছিলেন। প্রথমে সুমিত বলেছিলেন, তাঁদের সিম কার্ড একাধিক অবৈধ কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। বেআইনি লেনদেনও হয়েছে। এরপর ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসার পরিচয় দিয়ে অনিল ফোন করেন। তিনি বলেন, তদন্তের স্বার্থs তাঁদের জমি-বাড়ির তথ্য দিতে হবে এবং ৫০ লক্ষ টাকা লাগবে। নয়তো তাঁরা বিপদে পড়বেন। সান্তান চিঠিতে জানান, ভয় পেয়ে ৫০ লক্ষ টাকা তিনি দিয়ে দেন।

কিন্তু তারপরও ক্রমাগত টাকা চেয়ে যাচ্ছিলেন সুমিত এবং অনিল। চাপে পড়ে প্রায় ৭ লক্ষ টাকার গোল্ড লোনও নিয়েছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, একাধিক বন্ধুদের থেকেও নাকি টাকা ধার করেছিলেন তিনি। তবে শেষমেশ বুঝতে পারেন, পুরোটাই জালিয়াতি। তাই আত্মহত্যা করা ছাড়া আর উপায় পাননি তাঁরা।

দম্পতি কারও দয়ায় বাঁচতে চাননি। কেউ তাঁদের টাকার জন্য কটূ কথা শোনাক, তাও মেনে নেওয়া অসম্ভব ছিল তাঁদের। সেই কারণেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা, সুইসাইড নোটে এমনটাই উল্লেখ করে গেছেন তাঁরা। পাশাপাশি তাঁদের আর্জি , তাঁদের দেহ দাহ না করে যেন কোনও হাসপাতালে দান করা হয় মেডিক্যালের পড়ুয়াদের জন্য।