• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

অ্যালকেমিস্ট মামলায় মুকুল রায়কে তলব ইডি-র

দিল্লি, ১৫ ফেব্রুয়ারি: শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও ইডি-র কাছে ছাড় পাচ্ছেন না অভিযুক্তরা। ফলে অ্যালকেমিস্ট মামলায় এবার কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়কে তলব করল ইডি। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি তাঁকে ইডি-র দিল্লির দপ্তরে হাজিরার জন্য নোটিস দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় ১৯১৬ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের অভিযোগ ওঠে। সেই টাকা একাধিক প্রভাবশালীর কাছে গিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। গত

দিল্লি, ১৫ ফেব্রুয়ারি: শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও ইডি-র কাছে ছাড় পাচ্ছেন না অভিযুক্তরা। ফলে অ্যালকেমিস্ট মামলায় এবার কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়কে তলব করল ইডি। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি তাঁকে ইডি-র দিল্লির দপ্তরে হাজিরার জন্য নোটিস দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় ১৯১৬ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের অভিযোগ ওঠে। সেই টাকা একাধিক প্রভাবশালীর কাছে গিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।

গত ২০২১ সালে সংস্থার কর্ণধার ও প্রাক্তন সাংসদ কেডি সিং-কে এই মামলায় গ্রেপ্তার করে ইডি। বাজেয়াপ্ত করা হয় তাঁর ২৩৮ কোটি টাকার সম্পত্তি। সেই সম্পত্তির মধ্যে অন্যতম কেডি-র কুফরির রিসর্ট, চণ্ডীগড়ের শো-রুম, হরিয়ানার পঞ্চকুলার সম্পত্তি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। তাঁরই সংস্থা ছিল ‘অ্যালকেমিস্ট ইনফ্রা রিয়ালটি’। সেই সংস্থার বিরুদ্ধে লগ্নিকারীদের কাছ থেকে বেআইনিভাবে টাকা তোলার অভিযোগে মামলা হয়। ইডি ২০১৬ সালে মামলা দায়ের করে এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে।

সেই মামলায় নাম জড়িয়েছিল মুকুল রায়ের। এবার তাঁকে তলব করল ইডি। কিন্তু, কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়ের শারীরিক অবস্থা একেবারেই ভালো নেই। এব্যাপারে পুত্র শুভ্রাংশু রায় জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে বাবার যা শারীরিক পরিস্থিতি, তাঁর পক্ষে দিল্লি যাওয়া সম্ভব নয়। পরিবারের তরফে এর আগেও জানা গিয়েছে, মুকুল রায় স্নায়ুজনিত সমস্যায় ভুগছেন। এজন্য গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁকে হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়। তাঁর মাথায় জল জমেছে। তিনি এখন ডিমেনশিয়ায় ভুগছেন। কিছুই মনে রাখতে পারেন না। এমনকি ঠিকমতো হাঁটাচলাও করতে পারেন না।

সূত্রের খবর, অ্যালকেমিস্ট কর্নধার ধৃত কেডি সিং-কে জেরা করে ইডি-র হাতে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে। সেজন্য মুকুল রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। এবিষয়ে শুভ্রাংশু বলেন, এই মুহূর্তে বাবার পক্ষে দিল্লিতে যাওয়া সম্ভব নয়। তবে ইডির তদন্তকারী অফিসাররা যদি বাড়িতে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান, বাবা তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবে।

প্রসঙ্গত একসময় তৃণমূলের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ ছিলেন মুকুল রায়। মমতার খুবই কাছের মানুষ ছিলেন তিনি। সেজন্য দলে মমতার পরই ছিল তাঁর অবস্থান। কিন্তু পরে বিভিন্ন কারণে তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে পদ্ম প্রতীকে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রে ভোটে লড়ে জয়ী হন। এরপর ফের পুরনো দলে প্রত্যাবর্তন করেন মুকুল রায়। ভোটের ফল ঘোষণার কিছু দিনের মধ্যেই তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। সেই যোগদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক জল্পনার সৃষ্টি হয়। এরপর মুকুলের বিধায়ক পদ বাতিলের দাবি জানিয়ে সরব হয় বিজেপি। যা নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক টানাপড়েন। তবে পুরনো দলে ফিরে এলেও মুকুল রায়কে সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা যায়নি।