দুর্নীতির অভিযােগে মুখ্যমন্ত্রীকে সমন পাঠিয়ে তলব করল কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডি। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি এবং অর্থ তছরুপের অভিযােগে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগনমােহন রেড্ডিকে আজ ইডি’র দফতরে হাজিরার জন্য ডেকে পাঠানাে হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া সাংসদ বিজয়া সাই রেড্ডি, হেটরাে ড্রাগর্সের কর্ণধার শ্রীনিবাস রেড্ডি, অরবিন্দ ফার্মারের ডিরেক্টর নিত্যানন্দ রেড্ডি, ট্রাইডেন্ট লাইফ সায়েন্সের ডিরেক্টর চন্দ্র রেডিড এবং অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার বিপি আচার্যকেও ডেকে পাঠানাে হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী জগনমােহন রেড্ডির বিরুদ্ধে অভিযােগ, ২০০৪-২০০৮ এর মধ্যে তার বাবা ওয়াইএস রাজশেখর রেড্ডি ক্ষমতায় থাকাকালীন মূল্য নির্ধারণ কমিটির বিরুদ্ধে গিয়ে অরবিন্দ ও হেটেরাে ফার্মাকে সাত লক্ষ প্রতি একর হিসেবে ৭৫ একর জমিদানে মদত দিয়েছিলেন।
অন্যদিকে, মেডক জেলায় অরবিন্দ ফার্মাকে দেওয়া অন্ধ্রপ্রদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনফ্রাস্ট্রাকচার কর্পোরেশনের ৩০ একর জমিও বেআইনিভাবে ট্রাইডেন্ট লাইফ সায়েন্সকে হস্তান্তরিত করা হয়েছিল। অভিযােগ, এই লেনদেনের মাধ্যমে অরবিদ ফার্মার কর্ণধার নিত্যানন্দ ভগ্নিপতি তথা ট্রাইডেন্ট লাইফ সায়েন্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পি শরৎ চন্দ্র রেড্ডি বেআইনিভাবেলাভ করেন ৪.৩৩ কোটি টাকা।
পরে জগমােহন রেড্ডির সংস্থা ‘জগথী পাবলিকেশন’ ও ‘জননী ইনফ্রা’তে নিত্যানন্দ ১০ কোটি ও শ্রীনিবাস রেড্ডি ১৭.২৫ টাকা বিনিয়ােগ করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও যেভাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি জগমােহন রেড্ডিকে তলব করেছে। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে।