লটারির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা নয়ছয়। প্রভাবশালী ব্যক্তিদের যোগসাজশে অবৈধ লটারির টিকিট বিক্রির মাধ্যমে আর্থিক দুর্নীতি। জোড়া ঘটনার তদন্তে কলকাতায় ইডির হানা। বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতা শহর এবং শহরতলির একাধিক জায়গায় হানা দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকেরা।
একই সঙ্গে এয়ারপোর্ট লাগোয়া মাইকেল নগরে একটি প্রিন্টিং ফ্যাক্টরিতেও হানা দিয়েছে ইডির আধিকারিকরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার লেক মার্কেট এলাকায় কবি ভারতী সরণীর একটি ফ্ল্যাটেও হানা দেয় ইডি।
সূত্রের খবর, এদিন লটারি কর্তা সান্টিয়াগো মার্টিনের আর্থিক কেলেঙ্কারির জেরে বৃহস্পতিবার দেশের ২০টি জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। দেশের একাধিক শহরে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কলকাতা সহ ফরিদাবাদ, লুধিয়ানা, চেন্নাই এবং কোয়েম্বাটুরে হানা দেয় আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘এই সংস্থার বিরুদ্ধে অবৈধ লটারি বিক্রি কাণ্ডে একাধিক রিপোর্ট ও অভিযোগ রয়েছে।’
পূর্বে লটারি কর্তা সান্টিয়াগো মার্টিনের বিরুদ্ধে সংবাদ মাধ্যমে একাধিক অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। জানা গিয়েছে, মার্টিন ১৯৯১ সালে ফিউচার গেমিং সংস্থা এবং হোটেল পরিষেবার সূচনা করেন। যারা পাঁচ বছর আগে ইলেক্টোরাল বন্ডে ১৩৬৮ কোটি টাকা রাজনৈতিক দলকে অনুদান হিসেবে দিয়েছিল। এই সংস্থার বিরুদ্ধে ২০১৯ সাল থেকে তদন্ত চালাচ্ছে ইডি।
কেরালায় এই সংস্থার বিরুদ্ধে অবৈধ লটারি বিক্রির জেরে সিকিম সরকারকে ৯০০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। সেজন্য গত বছর ইডি এই সংস্থার বিরুদ্ধে আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগে প্রায় ৪৫৭ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে। যার জেরে কোয়েম্বাটুরের ফিউচার গেমিং সলিউশন ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের দপ্তরেও তদন্ত চালানো হয়।