বেঙ্গালুরু, ২২ ফেব্রুয়ারি – বিদেশি মুদ্রা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে বাইজুস প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করল ইডি। এর ফলে আপাতত দেশ ছেড়ে যেতে পারবেন না বাইজু রবীন্দ্রন। প্রয়োজন মনে করলে বাইজুস প্রতিষ্ঠাতার বিদেশযাত্রা আটকে দিতে পারবে অভিবাসন দপ্তর। বিদেশি মুদ্রা বিনিময় নিয়ন্ত্রণ আইনে ৯৩৬২.৩৫ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগে গতবছর নভেম্বরে বাইজুর মূল কোম্পানি থিঙ্ক অ্যান্ড লার্ন প্রাইভেট লিমিটেডকে শোকজ করে তদন্তকারী সংস্থা।
বছর দুয়েক আগে থেকেই সমস্যায় ছিল বেঙ্গালুরুর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির। বিদেশি মুদ্রা আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাদের ৯ হাজার কোটি টাকা জরিমানা করে। ইডির অভিযোগ, ২০১১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ২৮ হাজার কোটি টাকার প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ পেয়েছিল ওই সংস্থা। পাশাপাশি ওই একই সময়কালের মধ্যে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের নামে প্রায় ৯ হাজার ৭৫৪ কোটি টাকা পাঠিয়েছেও। বিজ্ঞাপন ও প্রচার বাবদ ৯৪৪ কোটি টাকাও জমা করেছিল। এর মধ্যে বিদেশে পাঠানো অর্থও রয়েছে।
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বাইজুস। তবে এডু-টেক সংস্থাটির বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ আনেন বিনিয়োগকারীরাই। বেশ কয়েকটি মার্কিন বিনিয়োগকারীর সঙ্গে আইনি লড়াইয়েও জড়িয়ে পড়েন প্রতিষ্ঠাতা বাইজু রবীন্দ্রন। তাছাড়া ব্যবসায়িক দিক থেকেও কার্যত অসফল হয় বাইজুস। তাদের ব্র্যান্ড ভ্যালু কমে গেছে ৯০ শতাংশ। দেনায় ডুবে রয়েছে এই সংস্থাটি। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে রবীন্দ্রনকে সরিয়ে নতুন করে বাইজুসের বোর্ড বানানোর প্রস্তাব দিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
সূত্রের খবর, আগামী শুক্রবার এক বৈঠকে বসতে চলেছেন রবীন্দ্রন। সেই বৈঠকে কিছু বিনিয়োগকারী বা শেয়ার হোল্ডার তাঁকে অপসারণের দাবি তুলতে পারেন। যদিও গত বুধবার কর্নাটক হাইকোর্ট থিঙ্ক অ্যান্ড লার্ন প্রাইভেট লিমিটেডের আবেদনের প্রেক্ষিতে কোম্পানিকে স্বস্তি দিয়েছে । এক স্থগিতাদেশে আদালত জানিয়ে দিয়েছে, কিছু বিনিয়োগকারী যে বিশেষ বৈঠক তলব করেছেন সেখানে গৃহীত কোনও প্রস্তাব অবৈধ বলে গণ্য হবে। যতক্ষণ না চূড়ান্ত শুনানি এবং মামলার ফয়সালা না হয়, ততক্ষণ বৈঠকের কোনও সিদ্ধান্ত মান্যতা পাবে না।