ইডির পূর্বাঞ্চল অফিসের ৪ বছরে ১১,৫০০ কোটি টাকা উদ্ধার, অধিকাংশই পশ্চিমবঙ্গ থেকে

আর্থিক দুর্নীতিতে এগিয়ে বাংলা? সম্প্রতি একটি বিশেষ সূত্র মারফৎ উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় আর্থিক দুর্নীতি তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি)-র পূর্ব শাখার আঞ্চলিক অফিস গত ৪ বছরে উদ্ধার করেছে ১১,৫০০ কোটি টাকা, যার অধিকাংশই উদ্ধার করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে! ইডির সমস্ত আঞ্চলিক অফিসের উদ্ধারীকৃত অর্থের মধ্যে পূর্ব শাখার উদ্ধার করা অর্থের পরিমাণই সবথেকে বেশি।

সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে স্কুল শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির ঘটনায় আনুমানিক ৩৮০ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। এই অর্থের সিংহভাগ উদ্ধার করা হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এবং তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রধান সচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটো বাড়ি থেকে, যার পরিমাণ ছিল ৫২ কোটি। বর্তমানে দুজনেই জেলবন্দী এবং বিচারাধীন।

কলকাতায় হওয়া ই-নাগেটস গেমিং অ্যাপ কেলেঙ্কারি থেকেও অনেক টাকা উদ্ধার করে ইডি। নগদ, ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে মোট ১৫০ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও, সন্দেশখালির বেআইনি জমি জবরদখল এবং রেশন দুর্নীতি মিলিয়ে ইডি উদ্ধার করে ৬৬ কোটি টাকা।


সম্প্রতি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের কেলেঙ্কারির আবহে ইডি একটি সুও মোটু মামলা দায়ের করে আরজি কর হাসপাতালে হওয়া আর্থিক দুর্নীতির তদন্তের জন্য। ইডির সঙ্গে সিবিআই-ও যুগ্মভাবে এই মামলা চালাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, সোমবার ইডির পূর্বাঞ্চলের নতুন স্পেশাল ডিরেক্টর হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন ২০০৪ সালের ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিস (আইআরএস) অফিসার সত্যব্রত কুমার। এর আগে তিনি ইডির পশ্চিমাঞ্চলের স্পেশাল ডিরেক্টর ছিলেন। সত্যব্রতের আগে পূর্বাঞ্চলের স্পেশাল ডিরেক্টর ছিলেন সুভাষ আগরওয়াল, যাঁকে পাঠানো হয়েছে ইডির পশ্চিমাঞ্চলের অফিসে।

সত্যব্রত এর আগে ইডির প্রাক্তন ডিরেক্টর সঞ্জয় কুমার মিশ্রের স্টাফ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ মামলায় কাজ করার অভিজ্ঞতা তাঁর রয়েছে, যার মধ্যে নীরব মোদী ও মেহুল চোকসির আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা অন্যতম।