অষ্টম দীপোৎসব পালনের জন্য সাজ সাজ রব রাম জন্মভূমিতে। রাম মন্দির নির্মাণের পর এই প্রথম দীপাবলি পালন হবে অযোধ্যায়। মন্দির স্থাপত্যের কথা মাথায় রেখেই শুধুমাত্র পরিবেশবান্ধব ল্যাম্প ব্যবহার করা হবে। এর ফলে মন্দিরের গায়ে কোনও দাগ পড়বে না। এছাড়া দূষণও কম হবে। ৩১ অক্টোবর সরযূ নদীর তীর আলোকিত হয়ে উঠবে ২৮ লক্ষ প্রদীপে। এটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড তৈরি করবে।
প্রচুর ফুল দিয়ে সাজানো হবে রাম মন্দির। মন্দির কমপ্লেক্সকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি ভাগকে আলাদা আলাদা ভাবে সাজানো হবে। আলোকসজ্জা, ফুলের সাজ, সাফ-সাফাই সংক্রান্ত সমস্ত বিষয়ের তদারকি করবেন বিহারের প্রাক্তন পুলিশকর্তা আশু শুক্লা। পুণ্যার্থীরা আলো এবং ফুলে সজ্জিত রাম মন্দিরের নৈসর্গিক রূপ প্রত্যক্ষ করতে পারবেন দীপাবলির রাতে।
দীপোৎসবের মূল লক্ষ্য পরিবেশকে রক্ষা করা। কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করতে এবং মন্দিরকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে বিশেষ মোমের প্রদীপ ব্যবহার করা হবে। মন্দির ট্রাস্টের লক্ষ্য দীপাবলিতে অযোধ্যাকে কেবল ধর্ম ও বিশ্বাসের কেন্দ্র নয়, পরিচ্ছন্নতা এবং পরিবেশ সচেতনতার প্রতীক হিসাবে তুলে ধরা। পুণ্যার্থীদের কথা মাথায় রেখে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২৯ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর মধ্যরাত্রি পর্যন্ত দর্শন করা যাবে রামলালাকে।
দীপাবলির দিন সরযূ নদীর দু’পারের ৫৫টি ঘাট প্রদীপ দিয়ে সাজানো হবে। এজন্য দিবারাত্র কাজ করে চলেছেন ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। মূলত ছাত্র-যুবরাই এই বৃহৎ কর্মযজ্ঞের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। রাম কি পৈড়িতে ১০ নম্বর ঘাটে ৮০ হাজার প্রদীপ দিয়ে একটি স্বস্তিক চিহ্ন করা হয়েছে।