বিভিন্ন রাজ্যে চলতি বছরের শেষেই নির্বাচন। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই নির্বাচন কমিশন ভোটের সামগ্রিক বিষয়টি সম্পন্ন করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলির পরামর্শ চেয়েছে। ভোটের সময় নির্বাচনী প্রচার চালানোর বিষয়টিই সবথেকে গুরুত্ব পায়। কিন্তু করোনা আবহে জমায়েত করলেই সংক্রমণের আশঙ্কা। অথচ মেয়াদ শেষ হলে নির্বাচনও করা জরুরি।
এমন উভয় সঙ্কটের মধ্যে পড়ে নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলির কাছে সম্ভাব্য উপায় জানতে চেয়েছে সমস্যা সমাধানে। কমিশনের পক্ষে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলিকে প্রচার নিয়ে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ পাঠানোর জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলির পরামর্শ পাওয়ার পর বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করেই কমিশন প্রচার সংক্রান্ত নির্দিষ্ট নির্দেশিকা তৈরি করবে। আগামী অক্টোবর বা নভেম্বরে বিহার বিধানসভার নির্বাচন হওয়ার কথা।
করোনার মধ্যেই নির্বাচন কমিশন তার জন্য তোড়জোড় শুরু করেছে। এতে রাজনৈতিকদলগুলি কমিশনের কঠোর সমালোচনা করে। তার পরেই কমিশন রাজনৈতিক দলগুলির পরামর্শ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। বয়স্ক, অন্তঃসত্ত্বা মহিলা, মধুমেহ রোগাক্রান্ত, হাইপারটেনশন রোগীরা চাইলে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন বলে কমিশন নির্দেশ জারি করেছে।
এছাড়া পঁয়ষট্টি বছরের বেশি মানুষজনও পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে। এর বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল। কারণ দেশে ছয় শতাংশ মানুষের বয়স পঁয়ষট্টি বছর বা তার বেশি। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও দেশের অন্তত তেরোজন মুখ্যমন্ত্রীর বয়স পঁয়ষট্টির বেশি। তারা নির্বাচনে প্রচার করবেন অথচ বুথে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন না এটা হাস্যকর।