দিল্লি, ২২ মে– লোভসভা ভোটের পাঁচ দফা শেষ৷ বাকি মাত্র আর ২ দফা৷ আর এখন কিনা ভোটপ্রচারে নানান কথা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন৷ কমিশনের বক্তব্য, ‘ভারতের সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সংহতি স্রেফ ভোটের জন্য বিসর্জন দেওয়া যায় না৷ দেশের প্রধান দুই দল ভোটারদের অভিজ্ঞতা এবং ভারতীয় রাজনীতির ঐতিহ্যকে বিষিয়ে দিতে পারে না৷’ বুধবার নির্বাচন কমিশন বিজেপিকে সতর্ক করে জানাল, ভোটপ্রচারে ধর্মীয় লাইনের ব্যবহার, বা সাম্প্রদায়িক উসকানি নয়৷ বাদ যায়নি কংগ্রেসও৷ বিজেপির পাশাপাশি কংগ্রেসকেও একই সতর্কবার্তা দিয়েছে কমিশন৷ যদিও কংগ্রেসকে এই নোটিশ শুধুমাত্র বিজেপিকে বাঁচাতেই বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ ওয়াকিবহাল মহলের মনে, যাতে একা বিজেপি ‘কলঙ্কিত’ না হয়, সেকারণেই হাত শিবিরকে নোটিস পাঠানো হল৷
নির্বাচন কমিশনের তরফে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে চিঠি পাঠিয়ে বিষয়টি জানান হয়েছে৷ কমিশন দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের সভাপতিদেরই সতর্ক করে দিয়েছে, যাতে তারকা প্রচারকরা ধর্মীয় বিভাজনকে প্রচারে হাতিয়ার না করেন৷ প্রচারকরা যেন ভোটে কোনওভাবেই সাম্প্রদায়িকতা বা ধর্মীয় উসকানির আশ্রয় না নেন৷ প্রচার চলাকালীন যাতে তারকারা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেন, সেটাও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে নাড্ডাকে৷
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তথা বিজেপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় মেরুকরণকে হাতিয়ার করে প্রচার করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের৷ বিরোদী দলগুলি প্রাশ্চই অভিযোগ করে আসছেন যে, প্রধানমন্ত্রী তার প্রায় প্রতিটি সভাতেই মঙ্গলসূত্র, অনুপ্রবেশকারী, মুসলমানের মতো শব্দ ব্যবহার করেন৷ পিছিয়ে নেই শাহ-নাড্ডারাও৷ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কংগ্রেস অভিযোগ করেছিল সেই দ্বিতীয় দফার ভোটের পরই৷ কিন্ত্ত দ্বিতীয় দফা থেকে পঞ্চম দফা, ৩ দফার ভোট মিটে গেলেও কমিশনের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি৷ অবশেষে টনক নড়েছে কমিশনের৷ যদিও, সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করা হয়নি নোটিসে৷ আবার একই সঙ্গে নোটিস পাঠানো হয়েছে কংগ্রেসকেও৷