আজ, বুধবার সকালে তেলেঙ্গানায় তীব্র ভূকম্পন অনুভূত হল। এছাড়া অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণ এবং এলুড়ু জেলাতেও মৃদু কম্পন অনুভূত হয়েছে। হায়দরাবাদ, খামাম্মাম, মহাবুবাবাদ, নলগণ্ডা, ওয়ারাঙ্গল, হনুমাকণ্ডা, রঙ্গরেড্ডি সহ তেলেঙ্গানার একাধিক জেলায় এই কম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর মেলেনি।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি বা জাতীয় ভূমিকম্প কেন্দ্রের তরফে এক্সে হ্যান্ডেলে জানানো হয়েছে, বুধবার সকাল ৭টা ২৭ মিনিটে কেঁপে ওঠে তেলেঙ্গানা অঞ্চল। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ৫.৩। তেলেঙ্গানার মুলুগু জেলায় ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার গভীরে এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল।
ভূমিকম্পের প্রবণতা এবং তীব্রতার নিরিখে ভারতীয় ভূখণ্ডকে চারটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। এগুলি যথাক্রমে- জোন-২, জোন-৩, জোন-৪ এবং জোন-৫। ভূতত্ত্ববিদদের পরিভাষায় এগুলিকে ‘সিসমিক জোন’ বলা হয়। এর মধ্যে জোন-৫ হল সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল। আবার সবচেয়ে কম ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা জোন-২। কিন্তু তেলেঙ্গানার ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে ঘটেছে ঠিক তার উল্টো। যে অঞ্চলে ভূমিকম্প হয়েছে সেটি জোন-২ অর্থাৎ কম ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলের আওতায় পড়ে। যা নিয়ে যথেষ্ট ধন্দে রয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রসঙ্গত দেশের ১১ শতাংশ অঞ্চল জোন-৫, ১৮ শতাংশ অঞ্চল জোন-৪-এর মধ্যে, ৩০ শতাংশ অঞ্চল জোন-৩ এবং বাকি অঞ্চল জোন-২-এর মধ্যে পড়ে।