২০২২-২০১৩ আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ হয়েছে মঙ্গলবার। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সেই বাজেট পছন্দ হয়নি বিরোধীদের।
গতকাল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি সমালোচনা করেন গরিব ও মধ্যবিত্ত যুবকদের কথা ভাবা হয়নি মোদি সরকারের বাজেটে।
যদিও এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করলেন বাজেটের প্রশংসা করেছেন সকলে। দেশকে সামনের দিকে নিয়ে যাবে এই বাজেট।
তবে আগের নীতিগত ভুলগুলি শোধরানোর চেষ্টা হচ্ছে বলেও জানান তিনি দেশ বাজেট পেশের পরদিন বুধবার গোটা দেশের বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল আলাপচারিতা ‘আত্মনির্ভর অর্থব্যবস্থা’য় অংশ নেন মোদি।
তিনি বলেন, মহামারী পরবর্তী বিশ্বে পরিবর্তন আসবে। করোনার লড়ছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় অর্থব্যবস্থারও অনেক পরিবর্তন হয়েছে।
আধুনিক ভারতের নির্মাণের কথা ভেবেই গতকাল বাজেট পেশ হয়েছে। সঙ্কল্প নিয়ে দেশকে এগোতে হবে। এবার ঘুরে দাঁড়াতে হবে আমাদের।
সেই সঙ্গে তিনি বলেন, আগের নীতিগত ভুলগুলি শোধরানোর চেষ্টা উল্লেখ্য কৃষক আন্দোলনের জেরে তিন কালা কৃষক আইন তুলে নিতে বাধ্য হয়েছে মোদি সরকার। সামনেই দেশের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে ভোট।
এই অবস্থায় নীতিগত ভুল শোধরানোর কথা বলে কৃষি আইন থেকে পিছিয়ে আসার কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
পাশাপাশি গত কংগ্রস সরকারের আমলের ভুলভ্রান্তিও শোধরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিন রাহুল গান্ধির বাজেট সংক্রান্ত বক্তবও খণ্ডন করেন তিনি।
তিনি বলেন গরিব ও মধ্যবিত্ত যুবকদেরকথা ভাবা হয়েছে এই বাজেটে। মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে বলেও নাম না করে বিরোধীদের তোপ দাগেন তিনি।
বলেন, দেশের খেলোয়ারদের উৎসাহ দেওয়া হয়েছে এই বাজেটে। বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী কিষাণ নিধি প্রকল্প ও অন্য প্রকল্পের আওতায় এই বাজেটে কৃষকদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়েও গুরুত্ব সহকারে ভাবা হয়েছে বলেও দাবি করেন দেশে প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ সাতগুণ বেড়েছে বলেও জানান তিনি।
বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপচারিতায় সামগ্রিক বিকাশের কথা তোলেন তিনি তথ্য পরিসংখ্যান সহকারে কেন্দ্রের কাজের তালিকা তুলে ধরেন।
বলেন, দেশের অর্থব্যবস্থা ২ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। কেন্দ্রের বাজেটে এই অর্থব্যবস্থা আরও মজবুত হবে। চার কোটি বাড়িতে জল সরবরাহের লক্ষ্য রয়েছে কেন্দ্রের।
গরিবদের জন্য ৮০ লক্ষ পাকা বাড়ি তৈরি করা হবে। নতুন পাকা বাড়ি তৈরির জন্য ৪৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। মহিলাদের নামে বাড়ির মালিকানা দেওয়া হবে।