গোয়ায় দাড়িয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন একের পর এক কটাক্ষের তির ছুঁড়ছেন কংগ্রেসের দিকে, তখনই সৈকত নগরীতে জনসংযোগের চেষ্টায় রীতিমতো ‘প্রমোদভ্রমণ’ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কখনও সদলবলে চলে গেলেন গোয়ার জনপ্রিয় রেস্তরাঁয় খেতে, কখনও ফুটবলে কিক মারলেন, আবার কখনও তাঁকে দেখা গেল স্থানীয় বাইক ট্যাক্সিতে ঘুরে বেড়াতে। তাঁর রাজনৈতিক কর্মসূচি যে নেহাত ছিল তাও নয়।
তবে, সেভাবে মোদি বা মমতা কাউকেই আক্রমণ করলেন না কংগ্রেস নেতা। রাহুল বরং গোয়াবাসীকে বোঝাতে চাইলেন, ‘আমি তোমাদেরই লোক। তোমাদের কন্ঠ হতে চাই আমরা।’ আপাত দৃষ্টিতে দেশের ক্ষুদ্রতম রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন ততটা তপ্ত হওয়ার কথা নয়। এতদিন গোয়ার নির্বাচন নিয়ে মানুষের তেমন মাথাব্যাথা ছিলও না।
কিন্তু এবারে গোয়ার রাজনীতির পরিসরে আগমন হয়েছে তৃণমুল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রধান উদ্দেশ্য বিজেপিকে হারানো হলেও, সেই লক্ষ্যে কংগ্রেসের অপারগতাকেই ফোকাসে আনার চেষ্টা করছেন তৃণমূলনেত্রী। ফলস্বরূপ মমতার প্রতিটি বক্তব্যের মূল টার্গেট যেন হয়ে উঠছে কংগ্রেসই। অথচ, এদিন রাহুল সেভাবে নিজের রাজনৈতিক প্রন্দ্বিন্দ্বীকে নিশানাই করলেন না। তিনি মগ্ন থাকলেন নিজের কর্মসুচিতেই।
তবে বিকেলে দলের কর্মীদের এক সভায় সুকৌশলে দলের কর্মীদের বুঝিয়ে দিয়েছেন, যারা যারা কংগ্রেস ছেড়ে অন্য দলে গিয়েছেন, তাদের আর দলে জায়গা দেওয়া হবে না। কংগ্রেসের লড়াই দুটি। একটি কেন্দ্রীয় স্তরে, দ্বিতীয়টি গোয়ায় স্থানীয় স্তরে। এই লড়াইটা আপনারা আমার থেকে ভাল জানেন।
এদিন গোয়া সফরের শুরুতেই স্থানীয় মৎস্যজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন রাহুল। জানিয়ে দেন, তিনি গোয়াবাসীর মনের কথা জানতে চান। গোয়াবাসীর কন্ঠস্বর হতে চান। কংগ্রেস নেতার দাবি, আমি যেটা প্রতিশ্রুতি দিই, সেটা রাখি। আমাদের ইস্তাহারে যেটা থাকে সেটা পূরণ করি। অন্য নেতাদের সঙ্গে আমার পার্থক্য এখানেই।
আমি যেটা বলি, সেটা যাতে হয়, তা আমি নিশ্চিত করি। আমি যখন বলি আমি গোয়াকে কয়লার হাব হতে দেব না। মানে আমরা গোয়াকে কয়লার হাব হতে দেব না। এদিন রাহুলকে জনসংযোগের লক্ষ্যে আরও একাধিক কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা যায়।
গোয়ার এক বিখ্যাত রেস্তরাঁয় তিনি সদলবলে চলে যান খাবার খেতে। বিকেলের দিকে গোয়ার স্থানীয় বাইক ট্যাক্সিতেও চাপেন কংগ্রেস নেতা। আসলে, গোয়ার বহু মানুষ এই বাইক ট্যাক্সির উপর নির্ভরশীল। তাঁদের মনের কথা জানতেই এই পদক্ষেপ কংগ্রেস নেতার।