রামলালার নতুন মূর্তিতে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ হয়েছে সোমবার। তারপর থেকেই রামমন্দিরের দরজায় পুণ্যার্থীদের ঢল নামে। মঙ্গলবার থেকে সাধারণ মানুষের জন্য রামমন্দির খুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল আগেই । তাই দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সেই রামমন্দির দর্শনে দেশের নানা প্রান্ত থেকে হাজির হন হাজার হাজার পুণ্যার্থী। ঠান্ডাকে উপেক্ষা করেই মন্দির দর্শনে সোমবার রাত ৩টে থেকে লাইনে দাঁড়ান পুণ্যার্থীরা। প্রথম দফায় দর্শন সেরে ফেলতে ভিড়ের পরিমাণ আরও বাড়তে থাকে। নির্ধারিত সময়ে সেই জনজোয়ার আছড়ে পড়ে মন্দিরের গেটের সামনে। সোমবার মাঝরাত থেকেই মন্দিরের গেটের সামনে লাইন পড়ে যায়। ভিড় সামলাতে আগে থেকে ব্যারিকেড করা হয়েছিল মন্দিরের সামনের অংশ। কিন্তু ভোরের আলো ফুটতেই ভিড়ের চাপে সেই ব্যারিকেড ভেঙে যায়।
এক সংবাদ সংস্থা একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে যেখানে দেখা যায় পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে হুড়মুড়িয়ে জনস্রোত ছুটছে মন্দির অভিমুখে। সেই সময়ে বেশ কয়েক জন পদপিষ্ট হয়েছেন বলে দাবি বেশ কিছু সংবাদ সংস্থার। এই অবস্থায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে অতিরিক্ত বাহিনী চেয়ে পাঠায় শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট। জানা যায় , পরিস্থিতির চাপে জেপি নাড্ডার অযোধ্যা সফর বাতিল করা হয়। এছাড়াও বেশ কয়েক জন শীর্ষ বিজেপি নেতার বুধবার রামমন্দিরে আসার কথা ছিল, সেই ভিআইপি দর্শনও বাতিল করা হয়। মন্দির দর্শনে ভিড়ের কারণে যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে, তার জন্য আগাম প্রস্তুতি রেখেছিল রাজ্য প্রশাসন। কিন্তু তার পরেও পরিস্থিতি যে ভাবে হাতের বাইরে চলে যায় , তা সামলাতে হিমশিম খেতে হয়। ।
উল্লেখ্য, সোমবার উদ্বোধনের পর মঙ্গলবার সকাল ৭টায় খুলে যায় মন্দিরের দরজা। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত খোলা ছিল মন্দির। পরে আবার দুপুর ২টো থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত রামলালা দর্শন চলে । সকাল সাড়ে ৬টায় ‘জাগরণ’ অর্থাৎ আরতি এবং সন্ধে সাড়ে ৭টায় সন্ধ্যারতি । তা অনলাইনেও দেখার সুযোগ রয়েছে ভক্তদের।