গুজরাট উপকূলে উদ্ধার ৬০০ কোটির মাদক, গ্রেপ্তার ১৪ পাকিস্তানী পাচারকারী

আহমেদাবাদ, ২৮ এপ্রিল: ভারতের আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় নজরদারি বাড়িয়ে ফের বড়সড় সাফল্য পেল এনসিবি। রবিবার ছুটির দিনে গুজরাট উপকূলে পাক পাচারকারীদের পরিকল্পনা ভেস্তে দিল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। পাচারকারীদের সঙ্গে লড়ে উদ্ধার করা হয়েছে ৮৬ কেজি মাদক দ্রব্য। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের বর্তমান বাজারমূল্য ৬০২ কোটি টাকা। ঘটনায় ১৪ জন পাকিস্তানী পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, ওই পাক পাচারকারীদের আটক করতে গেলে এনসিবি ও এটিএস বাহিনীর জওয়ানদের উপর পাল্টা হামলা চালায়। স্কোয়াডের জওয়ানরাও তাদের আটকাতে পাল্টা গুলি চালায়। তখন পাচারকারীরা এনসিবি ও এটিএস বাহিনীর জওয়ানদের উপর দিয়ে নৌকা চালিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। তখন পাল্টা গুলি চালিয়ে ওই দুষ্কৃতীদের নিরস্ত্র করে জওয়ানরা। এভাবে এনসিবি ও এটিএস বাহিনীর জওয়ানরা ওই পাচারকারীদের পাকড়াও করতে সমর্থ হয়। এনসিবি গুজরাট ও রাজস্থানের ম্যাও মিউ নামে পরিস্থিতি নিষিদ্ধ ড্রাগ মেফেড্রোন তৈরির তিনটে ল্যাবকে ধ্বংস করার ঠিক এক দিন পরেই উপকূল থেকে গ্রেফতার হয়েছে ১৪ পাক নাগরিককে। নিষিদ্ধ ড্রাগ মেফেড্রোন তৈরির তিনটে ল্যাবকে ধ্বংসের ঘটনায় যুক্ত সন্দেহে এখনও পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গোপনসূত্রে খবর পেয়ে রবিবার যৌথ অভিযান চালিয়েছিল সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড এটিএস ও এনসিবি। গুজরাট পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড গুজরাট ও রাজস্থান পরিচালিত ল্যাবগুলি ড্রাগ মেফেড্রোন তৈরির বিষয়ে একটি খবর পেয়েই অভিযান শুরু করে। পাকিস্তানি নাগরিকরা অভিযানের সময় গ্রেফতার এড়াতে এটিএস আধিকারিকদের থেকে বেশি জোরে নৌকা চালায়। পাশাপাশি নৌকা থেকে পাল্টা গুলি চালায়। তারপই তাদের সন্দেহভাজন সন্দেহে ১৪জন পাক-নাগরিককে গ্রেফতার করে। প্রসঙ্গত নিরাপত্তা সংস্থাগুলি দুই দিন ধরে আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে তাল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। ভারতীয় জলসীমার মধ্যেই এই তল্লাশি অভিযান চলছিল। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের নাগরিকরা ভারতীয় জলসীমা লঙ্ঘন করে এই দেশের মধ্যে ঢুকেছিল।