• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি পেল দেশ রাইসিনায় দ্রৌপদী

দেশের পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন দ্রৌপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর দ্রৌপদীকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

PM meets Droupadi Murmu.

দেশের পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন দ্রৌপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর দ্রৌপদীকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

ট্যুইটে তিনি লেখেন ‘ভারতে নতুন ইতিহাস তৈরি হল। পূর্ব ভারতের আদিবাসী সমাজের এক মেয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন। এই জয়ের জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানাই।

১৩০ কোটি ভারতবাসী যখন আজাদি কা অমৃত মহোৎসব উদযাপন করছে, সেই সময় এক আদিবাসী সমাজের মেয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়ে নতুন ইতিহাস তৈরি করলেন। মোদি এদিন দ্রৌপদীর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে অভিনন্দনও জানান।

ট্রাইটে মোদি আরও লেখেন, ‘শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মুর জীবন, তাঁর সংগ্রাম এবং সাফল্য প্রত্যেক ভারতীয়কে অনুপ্রাণিত করবে।

সেই সঙ্গে দেশের প্রান্তিক মানুষজনের কাছে তিনি আশার আলো। দ্রৌপদী মুর্মু ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল হিসেবেও দারুণ কাজ করেছিলেন।

আমি নিশ্চিত রাষ্ট্রপতি হিসেবেও তিনি অসাধারণ কাজ করবেন এবং ভারতের উন্নয়ন যাত্রাকে আরও শক্তিশালী করতে যেসব সাংসদ ও বিধায়ক দ্রৌপদীকে ভোট দিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করেছেন, তাঁদেরকেও শুভেচ্ছা জানাই।

দ্রৌপদীর জয় আসলে আমাদের গণতন্ত্রের পক্ষে শুভ লক্ষণেরই ইঙ্গিত বহন করে।

আগামী ২৪ জুলাই বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এরপর দ্রৌপদী মুর্মু শপথ নেবেন রাষ্ট্রপতি পদে।

রাইসিনার মসনদে পৌঁছে যাওয়া দ্রৌপদী মুর্মুর রাজনীতির পথ মসৃণ হলেও, যন্ত্রণাদায়ক ছিল তাঁর ব্যক্তিগত জীবন। স্বামী দুই ছেলেকে হারিয়েছেন তিনি।

বর্তমানে রয়েছেন এক মেয়ে দ্রৌপদী মুর্মু ১৯৫৮ সালে ২০ জুন ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার বাইদাপোসি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন স্কুলের শিক্ষা শেষ করে ভুবনেশ্বরের রামাদেবী মহিলা কলেজ থেকে কলা বিভাগে স্নাতক হন।

ওড়িশা সরকারের সেচ ও বিদ্যুৎ বিভাগে ক্লার্কের পদে চাকরিজীবন শুরু করেন।

রাজনীতিতে আসার আগে তিনি রায়রাংপুরে শ্রীঅরবিন্দ ইন্টিগ্রাল এডুকেশন সেন্টারে শিক্ষিকার কাজও করেছেন।

১৯৯৭ সালে ওড়িশার রায়রাংপুর নগর পঞ্চায়েতের কাউন্সিলর হন। এরপরই শুরু হয় তাঁর রাজনৈতিক জীবন।

২০০০ সালে রায়রামপুর কেন্দ্র থেকে বিধানসভা ভোটে জিতে নবীন পট্টনায়ক নেতৃত্বাধন বিজেডি-বিজেপি সরকারের মন্ত্রী হন দ্রৌপদী। প্রথম দফায় শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।

পরে তিনি পরিবহণ, পশুপালন ও মৎস্য দফতরও সামলান। ২০০৪ সালে ওই কেন্দ্র থেকে ফের বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন।

পরিবহণ, পশুপালন এবং মৎস্য দফতরের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ছিল তাঁর হাতে। তাঁর বাবা বিরাঞ্জিনারায়ণ টুডু ছিলেন ঝাড়খণ্ডের নবম রাজ্যপাল।

তিনিই ঝাড়খণ্ডের প্রথম রাজ্যপাল, যিনি পাঁচ বছরের কার্যকালের মেয়াদ পূরণ করতে পেরেছিলেন। ২০০৭ সালে ওড়িশার মুকুটে।

সেরা বিধায়ক হিসেবে নীলকণ্ঠ পুরস্কার পেয়েছিলেন দ্রৌপদী মুর্মু। ঝাড়খণ্ডের প্রথম মহিলা রাজ্যপাল হওয়ারও গৌরব রয়েছে দ্রৌপদীর।