ইন্দোর, ২১ মার্চ: বিদেশে পড়াশুনার খরচ জোগাড়ে নারাজ বাবা। কিছু এক অদ্ভূত ফন্দি বের করেন নাছোড় তরুণী। নিজের অপহরণের নাটক করে আতঙ্ক ধরান পরিবারের সদস্যদের বুকে। তাঁকে উদ্ধারের জন্য বাবার কাছ থেকে দাবি করা হয় ৩০ লক্ষ টাকা। কিন্তু শেষে সব পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। পুলিশের তদন্তের কাছে হার মানেন বছর ২১-এর ওই তরুণী।
জানা গিয়েছে, কাব্যা ধাকার নামে ওই তরুণী আদতে মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা। রাজস্থানের কোটায় একটি কোচিং সেন্টারে পড়াশুনা করার জন্য তাঁকে ভর্তি করেন অভিভাবকরা। ২০২৩ সালের ৩ আগস্ট ভর্তির সময় কাব্যার সঙ্গে ছিলেন তাঁর মা। দুদিন পর তাঁর মা সেখান থেকে বাড়ি ফায়ার আসেন। কিন্তু মা চলে যাওয়ার পরই কাব্যা বাড়ির কাউকে না জানিয়ে কোটা ছেড়ে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে একটি হোটেলে থাকতে শুরু করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও তিন বন্ধু। সেখান থেকে ভুয়ো রেজাল্টের ছবি বাবা-মাকে পাঠাতে শুরু করেন। এজন্য অন্য ফোন ব্যবহার করা হতে থাকে।
এভাবে সাত মাস চলার পর বন্ধুদের সঙ্গে মিলে অপহরণের নাটক ফাঁদেন কাব্যা। যার পিছনে একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল, বিদেশে পড়াশুনার জন্য টাকা জোগাড় করা। এজন্য বাবার ফোনে নিজের হাত পা বাঁধা ছবি পাঠিয়ে ঘটনার সত্যতা প্রমাণের চেষ্টা করে। অপহরণকারীদের থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে বলে দাবি করা হয়। তখন উপায়ান্তর না দেখে গোপনে পুলিশে খবর দেন কাব্যার বাবা। মেয়েকে অপহরণকারীদের হাত থেকে বাঁচাতে তিনি গত ১৮ মার্চ মধ্যপ্রদেশের শিবপুরী থানায় বিষয়টি জানান।
বাবার অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ রাজস্থানের কোটায় ঘটনার তদন্তের জন্য পাঠায়। তদন্তে নেমেই কোটা পুলিশের কাছে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়। তাঁরা বুঝতে পারেন পুরো বিষয়টি একটি সাজানো নাটক। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ধরে পুলিশ প্রথমে ওই তরুণীর এক বন্ধুকে আটক করে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়। জানতে পারে কোটায় নয় মধ্যপ্রদেশে আছেন কাব্যা। এরপর পুলিশ কাব্যার সঙ্গে যোগাযোগ করে।