ওমিক্রনের গোষ্ঠী সংক্রমণের মাঝে নিম্নমুখী কোভিড গ্রাফ

প্রতিকি ছবি (Photo: AFP)

গোষ্ঠী সংক্রমণে চোখ রাঙাচ্ছে করোনার নয়া স্ট্রেন ওমিক্রন। তারই মধ্যে সামান্য স্বস্তির খবর শোনাল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সপ্তাহের প্রথম দিন খানিকটা নিম্নমুখী দেশের কোভিড গ্রাফ।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৬ হাজার ৬৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪৩৯ জন। করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ লক্ষ ৪৩ হাজার ৪৯৫ জন। সুস্থতার হার ৯৩ শতাংশের সামান্য বেশি।

এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ২২ লক্ষ ৪৯ হাজার ৩৩৫। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, রবিবারের তুলনায় দৈনিক সংক্রমণ কমেছে ২৭ লক্ষ ৪৬৯। পজিটিভিটি রেট 20.৭৫ শতাংশ, যার ঊর্ধ্বমুখী হার অব্যাহত।


গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪,৭৪,৭৫৩ টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, যার মধ্যে ২০ শতাংশের বেশিই পজিটিভ কেস। এদিকে, বিশেষজ্ঞদের মতে, মাথাচাড়া দিচ্ছে ওমিক্রনের সাব-স্ট্রেন বিএ.২। যা কিনা আর টি পি সি আর পরীক্ষায় ধরা পড়ছে না। ফলে বিপদ বাড়ছে।

বলা হচ্ছে, ডেনমার্কে প্রথম এই সাব-স্ট্রেনটির খোঁজ মিলেছে। এবার ইংল্যান্ড, ভারত-সহ বেশ কয়েকটি দেশে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে এর হাত ধরেই। রবিবারই স্বাস্থ্যমহলের সতর্কবার্তা ছিল, গোষ্ঠী সংক্রমণ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে ওমিক্রন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিশেষজ্ঞ কমিটি জানিয়েছে, যেহেতু ওমিক্রন গোষ্ঠী সংক্রমণের চেহারা নিয়ে ফেলেছে, তাই এখন আর বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের থেকে এই নয়া স্ট্রেনে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা অমূলক।

কমিটি আরও জানিয়েছে, মাস্ক পরা, ভিড় এড়ানো, স্যানিটাইজারের ব্যবহারের মতো করোনার বিধিনিষেধগুলি ও টিকাকরণই বর্তমান পরিস্থিতিতে একমাত্র ঢাল হতে পারে কোভিডের সঙ্গে যুদ্ধে।

ইতিমধ্যেই দেশের ১৬৫ কোটির বেশি মানুষের টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। চলছে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকাকরণের কাজ চলছে। বুস্টার ডোজ পাচ্ছেন কো-মর্বিডিটিযুক্ত প্রবীণ ব্যক্তিরা। এতে জোর দিয়েই করোনাযুদ্ধে এগিয়ে চলেছে ভারত, এমনই আশা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।