জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে চিনা বিদেশমন্ত্রী তথা স্টেট কাউন্সিলর ওয়াং ই’র ভিডিও কলে বৈঠক হয় প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে। এই বৈঠক থেকেই বেরিয়ে এল সমাধানসূত্র। তারই পরিণতি’তে গালওয়ান উপত্যকা এবং গোগার হট স্প্রিং এলাকা থেকে উত্তেজনা কমাতে সেনা পেছোনোর প্রক্রিয়ায় সফলতা এল।
সোমবার বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ডোভাল এবং ওয়াং গভীর এবং খোলামেলাভাবে পশ্চিম সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। বেজিংও এলএসি’তে উত্তেজনা প্রশমনের ক্ষেত্রে ইতিবাচক অগ্রগতির কথা বলেছে। সোমবার চিনের বিদেশ দফতর বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে, উত্তেজনা প্রশমন এবং ডিসএনগেজমেন্টের লক্ষ্যে অগ্রবর্তী বাহিনী কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছে।
এদিন ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এক কিলোমিটার সেনা পেছোনোর বিষয়ে ডোভালের প্রস্তাব বিদেশমন্ত্রী মেনে নিয়েছেন। সেই সিদ্ধান্ত মেনে শুরু হয়েছে দুই সেনার ‘ডিসএনগেজমেন্ট’ প্রক্রিয়া। সেই সঙ্গে অজিত ডোভাল-ওয়াং ই বৈঠকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার প্রতি সম্মান প্রদর্শন, শান্তি ও সুস্থিতি বজায় রাখা এবং একতরফা পদক্ষেপ না করার ব্যাপারে সহমত হয়েছেন।
২০১৭ সালে ডোভালের বিরুদ্ধে ডোকলাম ‘স্ট্যান অফ’-এর সময় পরিস্থিতি জটিল করে তোলার অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ উঠেছিল ‘পেশীর আস্ফালন’ নিয়েও। সেই সময় বিদেশ সচিব এস জয়শঙ্করের তৎপরতায় সমাধানসুত্রের সন্ধান এসেছিল বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছিল।
এবার অবশ্য কোনও আক্রমণাত্মক ভূমিকায় দেখা যায়নি ডোভালকে। এবার অনেকটা অন্য পথে হেঁটে ডোভালের মস্তিষ্কপ্রসূত পরিকল্পনা গালওয়ান গোগরায় সেনা পেছানোর উত্তেজনা প্রশমনের পথকে অনেকখানি প্রশস্ত করে ‘স্বীকৃতি’ এনে দিল।