আর জি কর ধর্ষণ-খুন ইস্যুতে উত্তাল গোটা দেশ। পথে নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন চিকিৎসক থেকে শুরু করে সমাজের সর্বস্তরের মানুষেরা। এরই মধ্যে রাজ্যগুলিকে বিরাট নির্দেশ দিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সমস্ত রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে, প্রতি দু’ঘণ্টা অন্তর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
আর জি করে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দেশব্যাপী বিক্ষোভের ঢেউ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সমস্ত রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দেশের সমস্ত রাজ্যের পুলিশ বাহিনীকে মেল, ফ্যাক্স বা হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে প্রতি দুই ঘণ্টা অন্তর রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।
দিন কয়েক আগেই আর জি কর হাসপাতালে এক ডাক্তারকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে।গত শুক্রবার রাতে হাসপাতালের সেমিনার কক্ষ থেকে ওই ট্রেনি চিকিৎসককে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। হত্যার আগে তাঁকে পাশবিক নির্যাতন ও ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
সেই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরার সে দোষ কবুলও করে। প্রাথমিক ভাবে কলকাতা পুলিশ ঘটনার তদন্ত চালালেও দিন কয়েক আগে ধর্ষণ-খুব কাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইকে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
সিবিআই তদন্ত চলাকালীনই আবার আর জি করে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ‘রাত দখল’ কর্মসূচি চলাকালীন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। বুধবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ আর জি করের লাগোয়া এলাকায় ‘রাত দখল’ কর্মসূচির একটি মিছিল চলছিল।
অভিযোগ, সেই সময় আর জি করের জরুরি বিভাগের বাইরে তাণ্ডব চালায় একদল দুষ্কৃতী। গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালানো হয়। ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট), সিসিইউ (ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট), ওষুধের স্টোররুমে ভাঙচুর চলানো হয়।
আর জি করের পুলিশ ফাঁড়ি এবং আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের মঞ্চেও ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। ঘটনাস্থলে কিছু পুলিশকর্মী উপস্থিত থাকলেও প্রাথমিকভাবে তারা কিছু করে উঠতে পারেননি। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। নামানো হয় র্যাফও।
ভিড়কে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। ভাঙচুর করা হয়েছে পুলিশের একাধিক গাড়ি। দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া ইটে জখম হন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী।
দুটি ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে বৃহস্পতিবার তলব করেছিল সিবিআই। সে দিন তিনি হাজিরা দেননি। তার পর শুক্রবার সিজিওতে পৌঁছন। শনিবারও জেরা হয় সন্দীপকে। সূত্রের খবর, আজ, রবিবারও সিজিওতে ডেকে পাঠানো হয়েছে।