• facebook
  • twitter
Thursday, 19 September, 2024

নাড্ডা-সাক্ষাতে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে কর্মবিরতি থেকে সরল চিকিৎসক সংগঠন

বাংলার তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াল বিজেপি  কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডার সঙ্গে সাক্ষ্যাতের পরই আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে কর্মবিরতি থেকে সরল ‘ফেডারেশন অফ রেসিডেন্স ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন’। মঙ্গলবার রাতে তাঁদের কয়েকজন প্রতিনিধি দেখা করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রীর সঙ্গে । তারপরই তাঁরা কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসেন। এই রেসিডেন্স ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন যে কাজ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা থেকে

বাংলার তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াল বিজেপি 

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডার সঙ্গে সাক্ষ্যাতের পরই আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে কর্মবিরতি থেকে সরল ‘ফেডারেশন অফ রেসিডেন্স ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন’। মঙ্গলবার রাতে তাঁদের কয়েকজন প্রতিনিধি দেখা করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রীর সঙ্গে । তারপরই তাঁরা কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসেন।

এই রেসিডেন্স ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন যে কাজ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা থেকে সরে আসার কারণ সম্পর্কে জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাঁদের দাবি পুরণের আশ্বাস দিয়েছেন। তাঁদের দাবি ছিল, সেন্ট্রাল হেলথকেয়ার প্রোটেকশন অ্যাক্ট পাস করাতে হবে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে আশ্বাস পেতেই তাঁরা আর আন্দোলনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

অন্যদিকে, আর জি কর কাণ্ডে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াল বিজেপি। বুধবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির অভিযোগ, ন্যায় বিচার নয় বরং অপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে সরকার। মহিলা চিকিৎসককে যৌন নির্যাতন ও নৃশংস হত্যার ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘নির্মমতা’ বলে আক্রমণ শানালেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া।

এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। সেই রায়ের প্রসঙ্গ তুলেই বিজেপি নেতা বলেন, ‘শুরু থেকেই এই মামলায় অপরাধীদের বাঁচানো ও প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করে গিয়েছে পুলিশ। অপরাধের পর প্রথম ৪৮ ঘণ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেই সময়টাকে ব্যবহার করে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চলে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন সেই নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার দেবেন তিনি।’ এছাড়া বিজেপির তরফে দাবি করা হয়, ওই নৃশংসতার পর ঘটনা পরম্পরায় নজর রাখলেই দেখা যাবে ঠিক কী ষড়যন্ত্র রচিত হয়েছিল।

বিজেপির তরফে আরও অভিযোগ তোলা হয়, ”যেখানে অপরাধ হয়েছিল ঠিক তার পাশেই নির্মাণ সংস্কারের কাজ চালানো হচ্ছে। ওটা নির্মাণ নয়, আসলে প্রমাণ নষ্টের চেষ্টা চলছে। যে ঘটনা ঘটেছে তাতে স্পষ্ট যে গণধর্ষণ হয়েছে। অথচ পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করছে। লোক দেখাতে একজনকে গ্রেপ্তার করে বাকিদের আড়াল করা হচ্ছে। কিন্তু এটা স্পষ্ট যে গোটা ঘটনায় আরও একাধিক জন যুক্ত রয়েছে।” পাশাপাশি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমরা মেয়েটিকে আর ফিরে পাব না ঠিকই কিন্তু এই নৃশংসতার বিচার পেতে পারি। যতদিন না দোষীদের ফাঁসি হচ্ছে ততদিন আমরা থামব না।”

কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। মৃতা চিকিৎসকের হয়ে ন্যায় চেয়ে দেশ জুড়ে বহু মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তাররা পথে নেমেছেন। পশ্চিমবঙ্গেও কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে, বুধবারও তা চলার কথা।

বাংলাজুড়ে অবশ্য ‘জয়েন্ট ফোরাম অফ ডক্টরস’ বুধবার কর্মবিরতি করবে। চিকিৎসক সংংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, জরুরি পরিষেবা বাদ দিয়ে কোনওরকম পরিষেবা দেবেন না তাঁরা। যেভাবে আরজিকরে ডাক্তারি ছাত্রীকে নৃশংসভাবে খুন হতে হয়েছে তারই প্রতিবাদে তাঁদের এই সিদ্ধান্ত বলেও জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে আরজিকর-সহ রাজ্যজুড়ে চলা ডাক্তারি পড়ুয়া ও জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনকে সমর্থনও জানিয়েছে চিকিৎসকদের সংগঠন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স।