দিল্লি, ২২ জুন – কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য কঠোর হচ্ছে নিয়মানুবর্তিতা। অফিসে আসার সময় বেঁধে দিচ্ছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন কর্মরত সব আধিকারিককে নির্দিষ্ট সময়ে দফতরে প্রবেশ করতে হবে। এক মিনিট দেরি করলেই তাকে ‘শাস্তি’ পেতে হবে। এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কেন্দ্রের কর্মী এবং প্রশিক্ষণ বিভাগ এই নিয়ম চালু করেছে। সরকারি বিভিন্ন দফতরে কর্মরত উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। এক্ষেত্রে কাউকেই বিশেষ ছাড় দেওয়া হবে না। সব কর্মচারীকেই কর্মক্ষেত্রে সময়ানুবর্তিতা পালন করতে হবে।
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে উপস্থিতি নথিভুক্ত করাতে হবে নির্দিষ্ট দফতরে। অর্থাৎ অফিসে নিজ নিজ দফতরে ঢোকার সময় পরিচয়পত্র যন্ত্রের মাধ্যমে ‘পাঞ্চ’ করাতে হবে। তাতেই উপস্থিতি নথিভুক্ত হবে। ৯টা ১৫ মিনিটের পর কেউ নিজের কার্ড ‘পাঞ্চ’ করালে তাঁর পৌঁছতে দেরি হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হবে।
যে কোনও সরকারি কর্মচারীর সারা বছর নির্দিষ্ট সংখ্যক কিছু দিনের ছুটি বরাদ্দ থাকে। কোনও প্রয়োজনে সেখান থেকে ছুটি নিতে পারেন তিনি। এই ধরনের ছুটিকে বলা হয় ‘ক্যাজ়ুয়াল লিভ’। কোনও কর্মী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দফতরে না পৌঁছলে সেই বরাদ্দ ছুটির মধ্যে থেকে তাঁর অর্ধদিবস কাটা যাবে। অর্থাৎ, দু’দিন দেরি হলেই হাতছাড়া হবে একটি ছুটির দিন। এছাড়া কোন দফতরে কোন কর্মচারী কখন আসছেন, কখন যাচ্ছেন, সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে।
অভিযোগ, সরকারি বিভিন্ন দফতরে সময়ের হিসাব রাখা হয় না। কর্মীরা যে যখন খুশি অফিসে ঢোকেন এবং সময়ের আগেই বেরিয়ে যান। কেউ কেউ অফিসে ঢুকে উপস্থিতি নথিভুক্ত করিয়েই আবার বেরিয়ে যান। এতে সাধারণ মানুষকেও অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। সরকারি দফতরগুলিতে সময়ের এই সমস্যা মেটাতে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির উপস্থিতি অনেক আগেই চালু করা হয়েছিল। কিন্তু কোভিডের সময় থেকে সেই ব্যবস্থা পুরোপুরি কার্যকর ছিল না । অভিযোগ, তার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও অনেক আধিকারিক সেই নিয়ম আর আগের মতো করে মানতে চাননি। সরকারি সূত্রের দাবি, এই ধরনের অনিয়ম আটকাতেই নতুন করে নিয়মের কড়াকড়ি করা হচ্ছে কেন্দ্রের তরফে।