মঙ্গলবারই পিএম কেয়ার ফান্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় গিয়েছে সরকারের পক্ষে। বুধবার নতুন করে ওই ফান্ড নিয়ে আত্ৰমণ শানালো কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম এদিন টুইট করে বলেন, পিমে কেয়ার ফান্ডের স্বচ্ছতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন রয়েছে।
তিনি বলেন সুপ্রিম কোর্ট ওই ফান্ডের বৈধতা নিয়ে রায় দিয়েছে। সেই রায়ই চূড়ান্ত। কিন্তু তা নিয়ে অ্যাকাডেমিক সার্কেলে আলোচনা চলছেই। করোনাভাইরাস অতিমারির জন্য কয়েক মাস আগে তৈরি হয়েছিল পিএম কেয়ার ফান্ড। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট জানায়, সেই ফান্ডের টাকা কোনওভাবে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা ফান্ড-এ দেওয়া যাবে না।
সুপ্রিম কোর্ট পিএম কেয়ারের অর্থ এনডিআরএফ-এ দেওয়ার জন্য অনুরোধও করবে না। কারণ পিএম কেয়ার ফান্ড সম্পূর্ণ আলাদা একটি তহবিল। তবে সরকার যদি চায়, সেখান থেকে টাকা দিতে পারে এনডিআরএফ-এ। সেন্টার ফর পাব্লিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন নামে একটি সংগঠন সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে বলে পিএম কেয়ার তহবিলে যে টাকা সংগৃহীত হয়েছে এবং ভবিষ্যতে টাকা সংগৃহীত হবে সবই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলে দেওয়া হোক।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটির অভিযোগ ছিল পিএম কেয়ার ফান্ড বিপর্যয় মোকাবিলা ফান্ডের কয়েকটি ধারার বিরোধী। কংগ্রেস সুপ্রিম কোর্টের রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। তাদের বক্তব্য, এরপর মানুষের কাছে সরকারের কাজের কোনও স্বচ্ছতা বা বিশ্বাসযোগ রইলো না। চিদম্বরম ট্যুইট করে বলেন, পিএম কেয়ার ফান্ডের স্বচ্ছতা ও ম্যানেজমেন্ট নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট কিছু বলেনি।
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী চিদম্বরম জানতে চান, মার্চে ওই তহবিল তৈরি হওয়ার প্রথম পাঁচ দিনে কারা অনুদান দিয়েছিল? কোনও চিনা সংস্থা কি ওই তহবিলে টাকা দিয়েছে? ২০২০ সালের ১ এপ্রিল পর্যন্ত ওই তহবিলে কত টাকা জমা পড়েছিল। কারা টাকা দিয়েছিল?
গত ২৮ মার্চ পিএম কেয়ার ফান্ড গঠিত হয়। তার পুরো নাম প্রাইম মিনিস্টারস সটিজেনস অ্যাসিসট্যান্ট অ্যান্ড রিলিফ ইন এমার্জেন্সি সিচুয়শন ফান্ড। ওই ফান্ডের চেয়ারম্যান হলেন প্রধানমন্ত্রী। তার ট্রাস্টিদের মধ্যে আছেন প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা চিদম্বমের প্রশ্ন, যদি ওই ফান্ডটি আরটিআই-র আওতার বাইরে হয়, তাহলে নানা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের জবাব দেবে কে?