• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ওষুধে নয় চকের গুঁড়ো, স্টার্চ ভর্তি টেবলেট-ক্যাপসুল, নিষিদ্ধ করল ড্রাগ কন্ট্রোল

দিল্লি, ৮ মার্চ– অসুখ সারাতে ওষুধই একমাত্র ভরসা৷ চিকিৎসক যেমন রোগ বুঝে ওষুধ লেখেন ভরসা করে তেমনই রোগী সেই ওষুধ খান চিকিৎসক ও সেই ওষুধের ওপর ভরসা করেই৷ কিন্তু সেই ওষুধেই যদি থাকে ভেজাল তাহলে? এমনই পাওয়া গিয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের ক্ষেত্রে৷ সেই সমস্ত ওষুধগুলোর মধ্যে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণজনিত রোগ সারানোর গুণ থাকায় এই ওষুধগুলোই কমবেশি

দিল্লি, ৮ মার্চ– অসুখ সারাতে ওষুধই একমাত্র ভরসা৷ চিকিৎসক যেমন রোগ বুঝে ওষুধ লেখেন ভরসা করে তেমনই রোগী সেই ওষুধ খান চিকিৎসক ও সেই ওষুধের ওপর ভরসা করেই৷ কিন্তু সেই ওষুধেই যদি থাকে ভেজাল তাহলে? এমনই পাওয়া গিয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের ক্ষেত্রে৷ সেই সমস্ত ওষুধগুলোর মধ্যে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণজনিত রোগ সারানোর গুণ থাকায় এই ওষুধগুলোই কমবেশি প্রেসক্রাইব করতেন চিকিৎসকরা৷ ইদানীংকালে দেখা যাচ্ছিল, রোগী ওষুধ তো খাচ্ছেন, কিন্ত্ত কাজ হচ্ছে না কিছুই৷ সংক্রমণ কমা তো দূর, উল্টে নানা রকম সাইড এফেক্টস দেখা দিচ্ছে৷ তারপরেই ওষুধগুলোকে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়৷ আর ওষুধের উপাদান পরীক্ষা করতে গিয়েই যা সামনে আসে তা রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো৷ বাইরেটা ট্যাবলেট বা ক্যাপসুলের মতো দেখতে হলেও ভেতরে ঠাসা চকের গুঁড়ো, স্টার্চ৷

ভেজাল ওষুধের কারবার নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরেই সরব ড্রাগ কন্ট্রোল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ডিসিএ)৷ হাতেনাতে এমন অনেক জাল ওষুধ ও ওষুধ বিক্রেতাদের হাতেনাতে ধরা হয়েছে৷ সাধারণত বেশ কিছু সাধারণ মানের ওষুধেই এই ভেজাল দেখা দিচ্ছিল৷ কিন্তু এবার দেখা যাচ্ছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রোগের ওষুধেও এই একই অবস্থা৷ এবার নামী কোম্পানির ওষুধেও ভেজালের হদিও পেয়েছে ডিসিএ৷ ‘মেগ লাইফ সায়েন্সেস’ নামে একটি সংস্থার তিনটি ওষুধে ভেজাল ধরা পডে়ছে৷

ডিসিএ জানিয়েছে, ওই তিনটি ওষুধ আসলে ওষুধই নয়৷ কারণ ওষুধের উপকারি কোনও উপাদান সেগুলোতে নেই৷ তিনটি ওষুধই চকের গুঁড়ো, স্টার্চ দিয়ে ভর্তি৷ এই চকের গুঁড়ো পেটে গেলে রোগীর সুস্থ হওয়া তো দূর, উল্টে নানারকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেবে৷ যে তিনটি ওষুধে চকের গুঁড়ো পাওয়া গিয়েছে, সেগুলি হল— এমপিওডি ২০০, মেক্সক্ল্যাভ ৬২৫ এবং সেফক্সিম-সিভি৷ ডিসিএ জানিয়েছে, ওষুধের সংস্থাটি হিমাচল প্রদেশের সিরমৌর জেলার৷ ডিসিএ নির্দেশিকা দিয়ে সেখানকার ওষুধের দোকানগুলিকে ওই তিন ওষুধ বিক্রি বন্ধ করতে বলেছে৷ এই তিনটি ওষুধ কিনতেও নিষেধ করেছে ডিসিএ৷ কেউ যদি এই তিন ওষুধ খেয়ে থাকেন ও সেই কারণে কোনও শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় তাহলে তা রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে৷ সাধারণের জন্য একটি টোল ফ্রি নম্বরও দিয়েছে ডিসিএ৷ সেখানে ফোন করে অভিযোগ জানাতে বলা হয়েছে৷