বৃহস্পতিবার ছিল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন। এই বিশেষ দিনে কোনও অনুষ্ঠান নয়, কাজের মধ্যেই কাটান কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এবার জন্মদিনে তাঁর বাড়তি পাওনা ধনখড়ের শুভেচ্ছা। এদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে লেখেন, ‘আমি সম্মানীয় উপরাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি আমাকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি ব্যক্তিগতভাবে আমাকে ফোন করেন এবং আমার স্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেন। পরিবারের সবাইকে আশীর্বাদ করেন। দিল্লিতে তাঁর বাসভবনে তিনি আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।’
গত ১৯ ডিসেম্বর, সংসদ চত্বরে ইন্ডিয়া জোটের সাংসদদের বিক্ষোভ অবস্থান চলাকালীন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের মিমিক্রি করতে দেখা গিয়েছিল কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেখানে ধনখড়ের অঙ্গভঙ্গি নকল করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায় , নিজের মোবাইল ফোনে কল্যাণের সেই অঙ্গভঙ্গি রেকর্ড করছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। উপস্থিত অন্যান্য সাংসদরা তা পূর্ণমাত্রায় উপভোগ করেন। বিষয়টি সামনে আসার পরই মেজাজ হারান জগদীপ ধনখড়। তিনি সেই সময় বলেছিলেন, ‘এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দাজনক, বিরক্তিকর এবং লজ্জাজনক। সব কিছুর একটা সীমা থাকা দরকার। একজন সাংসদ মিমিক্রি করছেন, অপরজন তার ভিডিও করছেন। এই ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’
মিমিক্রি বিতর্কে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। সেই প্রসঙ্গে টুইট করে ধনখড় জানিয়েছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তাঁকে জানান তিনি এই ধরনের অপমান ২০ বছর ধরে সহ্য করছেন। এখনও করে চলেছেন।’ এই ঘটনার পর নিজের কর্তব্য থেকে পিছু না হঠার অঙ্গীকার করেছিলেন জগদীপ ধনখড়। কোনও অপমানই তাঁর কাজের দিকনির্দেশ বদল করতে পারবে না বলে দাবি করেছিলেন জগদীপ ধনখড়।
অন্যদিকে, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছিলেন, মিমিক্রি একটি শিল্প। কাউকে অপমান করার জন্য নয়। উল্লেখ্য কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মিমিক্রি নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। কিন্তু পুরনো সেই তিক্ততা ভুলে শুভেচ্ছাবার্তা জানানো এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল বলে অনেকের অনুমান।