বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর আক্রমণের ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া ধনখড়ের 

বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর আক্রমণের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। আগস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর ব্যাপক হামলার খবর আসতে থাকে। শুক্রবার প্রতিবেশী দেশে হিন্দুদের উপর আক্রমণ দেখেও ‘তথাকথিত ‘নৈতিক প্রচারকদের নীরবতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। দিল্লিতে আয়োজিত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় এই মন্তব্য করেন ধনখড়। 

এক সংবাদ সংস্থা ধনখড়কে উদ্ধৃত করে বলে ,’তারা হল ভাড়াটে সৈনিক যা মানবাধিকারের সম্পূর্ণ বিরোধী।’ ধনখড বলেন, ‘একবার ভেবে দেখুন ওখানে যেভাবে উৎপাত চলছে, তার শিকার যদি আপনি হতেন।’ তিনি বলেন, ‘আমরা খুব সহনশীল এবং এমন সহনশীল হওয়া ঠিক নয়। ভাবুন আপনি তাদের একজন ছিলেন কিনা।’

তিনি বলেন, ‘একবার তাকিয়ে দেখুন কী বর্বরতা, অত্যাচার, আতঙ্কের মধ্যে কাটাতে হয়েছে ছেলে, মেয়ে এবং মহিলাদের।’ রাজ্যসভার চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমাদের পবিত্র ধর্মীয় স্থান, মন্দিরগুলিকেও অপবিত্র করা হয়েছে।’ ধনখড় এত কথা বললেও কোনও দেশের নাম করেননি। তবে তাঁর ইঙ্গিত যে শেখ হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশের উদ্দেশে ছিল তা বোঝাই যায়।


উল্লেখ্য, আগস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর ব্যাপক হামলার খবর প্রকাশ্যে আসে। এক সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে দুর্গাপুজো উদযাপনের সময় অপ্রীতিকর ঘটনার পরে কমপক্ষে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং প্রায় এক ডজন মামলা নথিভুক্ত করা হয়।

তবে শুধু বাংলাদেশ নয়, পাকিস্তানেও সংখ্যালঘু হিন্দু-খ্রিস্টানদের উপর অত্যাচারের মাত্রা কম নয়। একটি সমীক্ষা রিপোর্ট তুলে ধরে সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, পাকিস্তানে বসবাসকারী হিন্দু ও খ্রিস্টান মহিলা ও শিশুদের উপর শোষণ ও নিপীড়নের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। অপহরণ, জোর করে ধর্মান্তরণ, ধর্ষণ এবং জবরদস্তি বয়স্কদের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। 

ভাষণ চলাকালীন, ধনখড় বলেন, ‘সেখানে ক্ষতিকারক শক্তি রয়েছে। তারা সঙ্ঘবদ্ধভাবে আমাদের কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করে। তারা আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমাদের দেশের মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলে। কিন্তু, ভারত কখনও মানবাধিকার নিয়ে কাউকে ভাষণ দেয় না।’ ধনখড়ের কথায়, ‘দেশভাগ, জরুরি অবস্থা জারি এবং ১৯৮৪ সালের শিখ দাঙ্গা হল সেইসব আতঙ্কের ঘটনা, যা স্বাধীনতার ভঙ্গুর দশাকে স্মরণ করিয়ে দেয়।’