দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর প্রথম ১০০ দিনে দেশের উন্নয়ন, বিশ্বাস ও বড় পরিবর্তন এনেছে নয়া এনডিএ সরকার। মত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির। মোদি দাবি করেন তাঁর সরকার যে দৃপ্ত সিদ্ধান্তগুলি নিয়েছে, তা আগমী দিনে দেশের পক্ষে খুব উপকারী হিসেবে প্রতিপন্ন হবে।
রবিবার হরিয়ানার রােহতকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেন, গত ১০০ দিনে যে বড় সিদ্ধান্তগুলি নেয়া হয়েছে, তার পেছনে অনুপ্রেরণা ছিল দেশের ১৩০ কোটি নাগরিক। এদিন জম্মু-কাশ্মীর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখই হােক বা জল সঙ্কট, ভারতের ১৩০ কোটি মানুষ বিভিন্ন সমস্যার নতুন সমাধান খোঁজার চেষ্টা শুরু করেছেন।
সম্প্রতি সংসদের অধিবেশনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ হয়েছে বলেও মনে করিয়ে দেন মোদি। এই ক’দিনে সংসদে যা কাজ হয়েছে, গত ৬০ বছরে কোনাে সংসদ অধিবেশনে তা হয়নি বলে দাবি করেছেন মোদি। তিনি বলেন রেকর্ড কাজ হওয়ার সব দলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
কৃষিক্ষেত্রেও সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আলােচনা করেন মোদি। কৃষকদের পাশাপাশি ছােট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের জন্য সরকার খুব শীঘ্রই পেনশন ব্যবস্থা করবে বলেও জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।
এদিকে মোদি সরকারের দ্বিতীয় দফার প্রথম একশাে দিনে তাদের কটাক্ষ করে অভিনন্দর জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। তাঁর দাবি, গত ১০০ দিনে কোনাে কাজই হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকারকে এক হাত নিয়ে পরের পর ট্যুইট করা হয়েছে কংগ্রেসের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডলার থেকেও।
রাহুলের অভিযােগ, নেতৃত্ব, দিশা ও পরিকল্পনার ঘাটতির কারণে অর্থনীতির বিধ্বস্ত অবস্থা। টুইটে রাহুল লিখেছেন, মোদি সরকারকে অভিনন্দন। গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে যাওয়া, সমালােচকদের চুপ করাতে সংবাদমাধ্যমকে আজ্ঞাবহ করে রাখা, নেতৃত্ব দিশা ও পরিকল্পনার ঘাটতি ঠিক করা সবচেয়ে প্রয়ােজন। তবেই পাল্টাবে অর্থনীতি।
রবিবার কংগ্রেসের তরফেও টুইটে টুইটে বিদ্ধ করা হয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকারকে। দ্বিতীয় এনডিএ সরকারের প্রথম ১০০ দিনকে তারা বর্ণনা করেছে স্বৈরাচার, বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতার বছর হিসেবে।
এই সময়কালে দেশের অর্থনীতি কীভাবে ধসে পড়েছে তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কয়েকটি পরিসংখ্যানও তুলে ধরা হয়েছে কয়েকটি পরিসংখ্যানে। বলা হয়েছে, গত কয়েক বছরে সবচেয়ে সঙ্কটে রয়েছে অটোমােবাইল ক্ষেত্র। এদিকে সরকার বলে যাচ্ছে আমেরিকা ও চিনের থেকে আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা নাকি বেশ ভালাে।