মুখ্যমন্ত্রীদের অনুরোধ সত্ত্বেও পদত্যাগে অনড় রাহুল গান্ধি

রাহুল গান্ধি (File Photo: IANS/AICC)

সম্প্রতি সমাপ্ত সাধারণ নির্বাচনে কংগ্রেস দলের শােচনীয় পরাজয়ের দায় নিয়ে দলের সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেন রাহুল গান্ধি । ২৩ মে সাধারণ নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর দেখা যায় কংগ্রেস লােকসভায় মােট আসনের দশ শতাংশের গন্ডিও পেরােতে পারেনি।

ফলে সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী কংগ্রেস এককভাবে বাহান্নটি আসন পাওয়া সত্ত্বেও সরকারিভাবে বিরােধী দলের মর্যাদা পায়নি। এর ফলে দুদিন পরেই ২৫ মে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সভায় রাহুল গান্ধি দলের এমন পরাজয়ের সকল দায় নিয়ে পদত্যাগ করেন সভাপতির পদ থেকে।

ওয়ার্কিং কমিটির সভায় তিনি কংগ্রেসের বরিষ্ঠ নেতা রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশােক গেহলট ও মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের বিরুদ্ধে নিজ নিজ রাজ্যে দলের হয়ে প্রচারের জন্য তেমনভাবে উদ্যোগ না নেওয়ার অভিযােগ তােলেন।


রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশােক গেহলট তাঁর পুত্র বৈভবকে নির্বাচনী বৈতরণী পার করার জন্য যােধপুর কেন্দ্রেই প্রচারে ব্যস্ত থেকেছেন, রাজ্যের অন্যান্য সকল কেন্দ্রে দলের প্রার্থীদের হয়ে প্রচারের পরিবর্তে। এর ফলে রাজস্থানের ২৫টি লােকসভা কেন্দ্রের সবকটিতেই বিজেপি জয়লাভ করেছে।

অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথও একই রকম ভাবে তাঁর পুত্রের হয়ে প্রচারের জন্যই একটি মাত্র কেন্দ্রেই নিজেদের ব্যস্ত রেখেছিলেন।

রাহুল গান্ধি কংগ্রেস কমিটির ওই সভায় দুই মুখ্যমন্ত্রীর এহেন আচরণে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, কংগ্রেস দলের দুই প্রবীণ গুরুত্বপূর্ণ নেতা দলের পরিবর্তে নিজের পুত্রদের নির্বাচনী বৈতরণী পার করার জন্যই সময় দিয়েছেন। কিন্তু তাতেও তাঁরা সফল হতে পারেননি।

সােমবার ১ জুলাই কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সভার আগেই আবারও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশােক গেহলট টুইট করে রাহুল গান্ধিকে সভাপতির দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার আর্জি জানান।

সভায় রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশােক গেহলট, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল এবং পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামীর উপস্থিত থাকার কথা।

এদিকে রাহুল গান্ধিই দলের এমন সঙ্কটের সময়ে সঠিক পথ দেখাতে পারেন বলে অশােক গেহলটের টুইটের উত্তরে রাহুল গান্ধি দলের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করার কথা সাফ জানিয়েছেন।