গেরুয়া শিবিরে বরাবরই রক্ষণশীল নেতাদের প্রভাব দেখা গেছে। সমকামিতার সমর্থনে এর আগে সেভাবে কোনও গেরুয়া শিবিরের নেতাকে সামনে আসতে দেখা যায়নি। কিন্তু বর্তমানে বিজেপির মহিলা মাের্চার সভাপতি পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তামিলনাড়ুর বনতি শ্রীনিবাসনকে। তিনি বরাবরই মুক্তমনা হিসেবে পরিচিত।
তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের অধিকারের জন্য ক্লাবরই সরব হয়েছেন তিনি। এই নেত্রীকে সর্বভারতীয় মহিলা মাের্চার দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকে জোর গুঞ্জন তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
প্রশ্ন উঠেছে বনতি শ্ৰীনিবাসন কি নিজের চিন্তাভানা সংগঠনের অন্যান্য মহিলা মাের্চা কর্মীদের মধ্যে বিস্তার করতে সক্ষম হবেন? রক্ষণশীলতার বেড়াজাল ভেঙে এই মুক্তমনার আদর্শ কি বদলে দিতে পারে গেরুয়া শিবিরের বহু নেতার দৃষ্টিভঙ্গি?
প্রসঙ্গত, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা মহিলা মাের্চার সভাপতি হিসেবে বনতির নাম ঘােষণা করার পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে শােরগােল পড়ে গিয়েছিল। ২৮ অক্টোবর থেকে এই নতুন পদের দায়িত্ব সামলেছেন বনতি। বিজয়া রাহাতকারের পর তাকে এই পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
কে এইনতি? সূত্রের খবর, ৫০ বছর বয়সী এই বিজেপি কর্মী তামিলনাড়র বাসিন্দা এবং পেশায় আইনজীবী। কলেজে পড়ার সময় থেকেই তিনি এবিভিপি সদস্য। ১৯৯৩ সালে তিনি যােগ দেন বিজেপিতে। এরপর ২০১১ এবং ২০১৬ সালে তামিলনাড বিধানসভা ভােটে লড়েছিলেন তিনি। কিন্তু দুবারই তিনি পরাজিত হন।
তবে শুধু রাজনীতিবিদ হিসেবে নয়, সমাজকর্মী হিসেবেও তার বিশেষ পরিচিতি রয়েছে। রূপান্তরকামী এবং সমকামীদের অধিকারের জন্য দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন এই নেত্রী। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, সমপ্রেম প্রাকৃতিক। কিন্তু তা সত্ত্বেও সমপ্রেমী মানুষদের দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত করে রাখা হচ্ছে নিজেদের অধিকার থেকে। এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে মুক্ত মন নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে হবে। এমনকি তার উদ্যোগে তামিল ভাষায় প্রথম এলজিবিটিকিউ কমিউনিটি উদ্দেশ্যে লেখা প্রথম বইটি প্রকাশ পেয়েছিল।