• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া কংগ্রেস, গাঁটছড়া বাঁধছে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে

অন্যদিকে, সিন্ধিয়া কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের ফলে অনেক বিজেপি নেতাকর্মী ক্ষুব্ধ। সেই নেতাকর্মীদেরও কাছে পেতে চাইছে কংগ্রেস।

প্রশান্ত কিশোর (File Photo: IANS)

১৫ মাসে মাটি হয়ে গিয়েছে ১৫ বছরের পরিশ্রম। মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতা হারিয়েছে কংগ্রেস জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার বেইমানিতে। কিন্তু চুপচাপ বসে থাকার লক নন কমলনাথ। ভোপালের কুর্শি পেতে এবং সেই সঙ্গে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার বদলা নিতে কমলনাথ মরিয়া হয়ে উঠেছেন।

উপনির্বাচনে বিজেপি’কে হারাতে কোমর বেঁধে মাঠে নামছে কংগ্রেস। আর এই লক্ষে উপনির্বাচনের রণকৌশল তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নির্বাচনী প্রামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোরকে।

আগামী চার মাসের মধ্যে মধ্যপ্রদেশের ২৪ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। এর মধ্যে ২২ টি কেন্দ্রে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার ঘনিষ্ঠরা পদত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজন মন্ত্রীও হয়েছেন।

রাজ্যের ক্ষমতা ধরে রাখতে বিজেপি চাইবে কমপক্ষে অর্ধেক আসনে জিততে। কারণ, বর্তমানে সরকার চলছে নির্দল, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজবাদী পার্টির বিধায়কদের ওপর ভরসা রেখে। কিন্তু যাদের ওপর ভরসা রেখে সরকার চলছে তাদের ওপর খুব বেশি ভরসা করা যায় না।

এদিকে, কংগ্রেস চাইছে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার গড়ে ২২ টির মধ্যে ২০ টি আসন দখল করতে। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে তিন ধাপে পরিকল্পনা করছে কংগ্রেস। প্রথম পর্যায়ে রণকৌশল তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রশান্ত কিশোরকে। দ্বিতীয় পর্যায়ে বিজ্ঞাপনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কর্পোরেট সংস্থাকে আর তৃতীয় পর্যায়ে দলের বর্ষীয়ান নেতাদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে এসে সিন্ধিয়ার সমর্থকদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামানোর কাজ শুরু হয়েছে।

সেই সঙ্গে বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতাদেরও দলে টানার চেষ্টা চালাচ্ছে কংগ্রেস। নিজেদের ১৫ মাসের কাজের প্রচার সঠিকভাবে করলে সিন্ধিয়া ঘনিষ্ঠদের হারিয়ে দেওয়া সম্ভব এমন বিশ্বাসকে সামনে রেখে এগোচ্ছে কংগ্রেস।

অন্যদিকে, সিন্ধিয়া কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের ফলে অনেক বিজেপি নেতাকর্মী ক্ষুব্ধ। সেই নেতাকর্মীদেরও কাছে পেতে চাইছে কংগ্রেস। গত লোকসভা নির্বাচনে নিজের কেন্দ্রেই পরাস্ত হয়েছে সিন্ধিয়া। ফলে তাঁকে হারানো যাবে না এমন নয়। এই শ্লোগানকে সামনে রাখছে কংগ্রেস।

২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ মেনে কাজ করে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস ভালো ফল করে ক্ষমতায় এসেছিল। ফলে রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হিসেবে প্রশান্ত কিশোরের ঈর্ষণীয় রেকর্ড কংগ্রেস কর্মীদের মনে রয়েছে। পুরনো কংগ্রেস নেতাদের ভোটের ময়দানে নামানো হচ্ছে।

সিন্ধিয়া কংগ্রেসে থাকাকালীন এদের অনেককেই ব্রাত্য করে দিয়েছিলেন তিনি। তাই তাদের এবার বদলা নেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে কংগ্রেস। ভোটের ময়দানে হচ্ছে প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা অজয় সিং, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রামনিবাশ রাওয়াত, প্রাক্তন সাংসদ প্রেমাদ গুড়ু, মীনাক্ষী নটরাজন এবং প্রভাবশালী ব্রাহ্মণ নেতা অশোক সিংদের।