উত্তর প্রদেশে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের সময় হামলা, গ্রেপ্তার এক

বাহরাইচ কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি। দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের ফের হামলার ঘটনা ঘটল উত্তর প্রদেশে। এবার ঘটনাস্থল দেওরিয়া। বুধবার রাতে দেওরিয়া জেলার মাঝৌলি রাজ শহরে প্রতিমা বিসর্জনের সময় ঝামেলার সূত্রপাত হয়। বিসর্জনের শোভাযাত্রায় নাচতে থাকা যুবকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। হামলার ঘটনার পর প্রতিমা বিসর্জন বন্ধ করে দিয়ে দোষীদের শাস্তির দাবি জানান বাসিন্দারা।

ঝামেলার খবর খবর পেয়ে জেলাশাসক দিব্যা মিত্তল, পুলিশ সুপার সংকল্প শর্মা এবং অন্যান্য আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে যান। বেশ কয়েকটি থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে জেলাশাসক ও পুলিশ আধিকারিকরা কথা বলেন। বেশ কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। শেষ পর্যন্ত গভীর রাতে প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন হয়। ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার সন্ধ্যায় সালেমপুর কোতোয়ালি এলাকার মাঝৌলি রাজ শহরে স্থাপিত দুর্গা প্রতিমার বিসর্জন চলছিল। শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শঙ্কর নগরে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের জন্য লাগোয়া গণ্ডক নদীতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বিসর্জনের শোভাযাত্রাটি শাহি চকে পৌঁছলে সেখানে বেশ কয়েকজন যুবক ছুড় ও পিস্তল নিয়ে মিছিলে অংশগ্রহণকারী যুবকদের ওপর হামলা চালায়। অতর্কিত হামলায় শোভাযাত্রায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।


হামলার ঘটনায় দু’জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের নাম – রাজন প্যাটেল এবং জিতেশ সিং। এছাড়াও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এই ঘটনার পর গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আয়োজকরা বিসর্জন বন্ধ করে রাস্তাতেই প্রতিমা রেখে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। খবর পেয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দিব্যা মিত্তল এবং পুলিশ সুপার সংকল্প শর্মা এবং অন্যান্য আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। বিভিন্ন থানা থেকে বিশাল বাহিনী ডাকা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, আহতদের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। জেলাশাসক দিব্যা মিত্তল জানান, প্রতিমা বিসর্জনের মিছিলে বাইরে থেকে কিছু ছেলে এসেছিল। হামলার ফলে রাজন-সহ কয়েকজন যুবক আহত হন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।

এই ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সদরের বিজেপি বিধায়ক শলভ মণি ত্রিপাঠী। তিনি বলেন, আহতদের চিকিৎসার জন্য সবরকমভাবে সাহায্য করা হবে। বিসর্জন মিছিলে হামলার ঘটনা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা সবাই আক্রান্তদের পরিবারের পাশে আছি। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।