• facebook
  • twitter
Thursday, 19 September, 2024

হাড় পর্যন্ত ছিদ্র করে দিতে পারে ডেন্টাল ক্যারিজ

দাঁতের ক্ষয় বর্তমান সময়ের একটি বড় সমস্যা৷ সব বয়সি লোকজন এ সমস্যায় পড়তে পারেন৷ দীর্ঘদিন দাঁতের যত্ন না নিলে কিংবা অবহেলা করলে ডেন্টাল ক্যারিজ দেখা দিতে পারে৷ ডেন্টাল ক্যারিজের কারণ ও প্রতিকার নিয়ে যুগান্তরকে পরামর্শ দিয়েছেন মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মো. ফারুক হোসেন৷দন্তক্ষয়কে রোগীরা অনেক সময় অবহেলা করে থাকেন৷ ফলে সূ² একটি দন্তক্ষয় থেকে

দাঁতের ক্ষয় বর্তমান সময়ের একটি বড় সমস্যা৷ সব বয়সি লোকজন এ সমস্যায় পড়তে পারেন৷ দীর্ঘদিন দাঁতের যত্ন না নিলে কিংবা অবহেলা করলে ডেন্টাল ক্যারিজ দেখা দিতে পারে৷ ডেন্টাল ক্যারিজের কারণ ও প্রতিকার নিয়ে যুগান্তরকে পরামর্শ দিয়েছেন মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মো. ফারুক হোসেন৷দন্তক্ষয়কে রোগীরা অনেক সময় অবহেলা করে থাকেন৷ ফলে সূ² একটি দন্তক্ষয় থেকে দন্তমজ্জা পর্যন্ত আক্রান্ত হয়ে দন্তমজ্জার প্রদাহ সৃষ্টি করে থাকে৷ পর্যায়ক্রমে এ সংক্রমণ দাঁতের গোড়ায় কোষে বিস্তৃতি লাভ করে থাকে৷ চিকিৎসা না নিলে তা খুব দ্রুত সংক্রমিত হয়ে থাকে৷  সংক্রমণের মাত্রা বেশি হয়ে থাকে৷ সংক্রমণের মাত্রা বেশি হয়ে গেলে হাড় পর্যন্ত ছিদ্র হয়ে যেতে পারে৷ এর পর সংক্রমণ মুখের কোষ বা কলায় একটি স্থানব্যাপী বিস্তৃতি লাভ করে থাকে, যাকে ডাক্তারি ভাষায় স্পেস ইনফেকশন বলা হয়৷ এ ধরনের স্পেস ইনফেকশনকে লাডউইগস্ এনজাইনা বলা হয়৷ লাডউইগস্ এনজাইনাকে সাবম্যান্ডিবুলার বা সাবলিংগুয়াল স্পেস সংক্রমণও বলা হয়৷ লাডউইগস্ এনজাইনা এক ধরনের সেলুলাইটিস৷ শুধু ডেন্টাল ক্যারিজ নয়; বরং কোনো ডেন্টাল সংক্রমণ থেকে এমনটি হতে পারে৷ লাডউইগস্ এনজাইনা হলে রোগীর গলার পাশে ফুলে গিয়ে শ্বাসনালির ওপর চাপ প্রয়োগের ফলে শ্বাস নেওয়ার সময় রোগী সীমাহীন কষ্ট অনুভব করে থাকেন৷ কোনো কোনো ক্ষেত্রে এ ধরনের পরিস্থিতিতে রোগীর মৃতু্য পর্যন্ত হতে পারে৷
মনে রাখতে হবে, লাডউইগস্ এনজাইনা জীবনের প্রতি হুমকিস্বরূপ হতে পারে৷ জরুরি অবস্থায় ট্রাকিওসটমির প্রয়োজন দেখা দিতে পারে৷ শ্বাসকষ্ট ছাড়া রোগীর জ্বর, ঘাড়ে ব্যথা, ঘাড় ফুলে যাওয়া, ঘাড় লাল হয়ে যাওয়া, দুর্বলতা, খাবার গিলতে সমস্যা হওয়া ইত্যাদি লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে৷ পেনিসিলিন জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিক স্বাভাবিক ডোজের চেয়ে বেশি পরিমাণে দেওয়া যেতে পারে বয়স, উচ্চতা ও ওজন অনুযায়ী৷ তাই দন্তক্ষয় বা দাঁতের গোড়ায় কোনো সংক্রমণকে কোনোভাবেই অবহেলা করা ঠিক নয়৷ দন্তক্ষয় প্রতিরোধ সবচেয়ে ভালো৷ তাই প্রতিদিন সকালে নাস্তার পর এবং রাতে ঘুমানোর আগে দাঁত ব্রাশ করা উচিত৷ এ ছাড়া ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করা ভালো৷ মাঝে মাঝে প্রয়োজনমতো কসমেটিক মাউথওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে৷ মনে রাখতে হবে, সব মাউথওয়াশ সবাই ব্যবহার করতে পারে না৷ কেবল ভুল মাউথওয়াশ ব্যবহার করার কারণে আপনার মুখে আলসার দেখা দিতে পারে বা আলসার থাকলে তা সহজে ভালো হবে না৷ দন্তক্ষয় ছাড়া দাঁতের গোড়ায় বা পাশে কোনো সংক্রমণ দেখা দিলে দ্রুত কার্যকর চিকিৎসা নিতে হবে৷