অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর দাবি

অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে কেন্দ্রকে তার অবস্থান স্পষ্ট করে জানাতে ‘একটা শেষ সুযোগ’ দিল সুপ্রিম কোর্ট। চার সপ্তাহ কেন্দ্রকে সময় দেওয়া হয়েছে তার বক্তব্য জানাতে। ইউসিসি চালুর আবেদন জানিয়ে পেশ হওয়া জনস্বার্থ মামলার ব্যাপারে এর আগে নোটিস দিয়েছিল শীর্ষ আদালত।

অভিন্ন ডিভোর্স আইন ও মহিলাদের খোরপোশ, ভরণপোষণ বরাদ্দ করার ক্ষেত্রে সমান মনোভাবের দাবি ও কেন্দ্রের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে দায়ের হওয়া দুটি পৃথক মামলা বিবেচনার জন্য গ্রহণ করেছিল আদালত।

কিন্তু সরকার তার বক্তব্য পেশ না করে বাড়তি সময় চায়। বিচারপতি এস কে কউল, বিচারপতি এমএম সুদেশকে নিয়ে গঠিত সর্বোচ্চ আদালতের বেঞ্চ পরের মাসে শুনানি পিছিয়ে দেয়।


এর মধ্যে বেঞ্চ ট্রান্সফার পিটিশন মঞ্জুর করে নির্দেশ দিয়েছে, মেঘালয় ও ওড়িশা হাইকোর্ট সমেত সব হাইকোর্টে বকেয়া যাবতীয় মামলা সুপ্রিম কোর্টে হস্তান্তরিত করা হোক। বিচারের জন্য সব মামলা একসঙ্গে ট্যাগ করেছে বেঞ্চ।

অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করার জোর দাবি জানিয়ে পিটিশনাররা আবেদনে বলেছেন, ২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বরই শীর্ষ আদালত জোস পাওলো কুটিনহো মামলায় ফের একবার দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর প্রয়োজনীয়তার উল্লেখ করেছিল, গোয়ার দৃষ্টান্ত দেখিয়েছিল।

কিন্তু সব ভারতবাসীকে খোরপোশ ভরণপোষণের ক্ষেত্রে সম মনোভাব দেখানোর কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি কেন্দ্র। কেন্দ্রকে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করতে বলা হোক।

পিটিশনাররা বলেন, হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ ও জৈন সম্প্রদায় ১৯৫৫-র হিন্দু বিবাহ আইন, ১৯৫৬ সালের হিন্দু দত্তক গ্রহণ ও ভরণপোষণ আইনে শাসিত হয়।

মুসলিমরা বৈধ বিবাহ ও প্রাক-বিবাহ বোঝাপড়ায় চলে, মুসলিম আইন ১৯৮৬-র আওতায় পড়ে। খ্রিস্টানরা চালিত হয় ১৮৬৯ সালের ভারতীয় ডিভোর্স আইনে। পার্সিরা ১৯৩৬-এর পার্সি বিবাহ ও ডিভোর্স আইনে।

কিন্তু এই আইনগুলির কোনও দিই লিঙ্গ নিরপেক্ষ নয়। একেকটিতে ডিভোর্সের কারণ, ভিত্তি একেকরকম, খোরপোশও সম পরিমাণ নয়।