দিল্লি, ২১ জানুয়ারি – প্রবল বিতর্কের সম্মুখীন হয়ে সোমবার আউটডোর বা বহির্বিভাগ পরিষেবা চালু রাখার কথা ঘোষণা করল দিল্লির এইমস কর্তৃপক্ষ । রবিবার এক নয়া বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দিল্লি এইমস জানিয়ে দিল রামমন্দির উদ্বোধনের দিন অর্থাৎ সোমবার সচল রাখা হবে এইমসের আইটডোর পরিষেবা। শনিবারের নির্দেশিকায় হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, সোমবার রামমন্দির উদ্বোধনের দিন অর্ধদিবস ছুটি থাকবে। দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত আপৎকালীন চিকিৎসা পরিষেবা ছাড়া হাসপাতালের সমস্ত বিভাগ বন্ধ থাকবে । রবিবার ফের নতুন নির্দেশিকা দেওয়া হয়। সোমবার মন্দির উদ্বোধনের দিন হাসপাতালের আউটডোর চালু থাকার কথা জানানো হয়। অর্থাৎ, আগে থেকে নাম নথিভুক্ত করানো রোগীরা ওই দিন হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন। হাসপাতালের সমস্ত বিভাগীয় প্রধানকে এই নতুন নির্দেশিকা কর্মীদের জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার এক বিবৃতি দিয়ে দিল্লি এইমস জানায়, অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো সোমবার এইমসও অর্ধদিবস ছুটি থাকবে। শনিবারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ‘‘২২ জানুয়ারি, সোমবার অযোধ্যায় রামালালার বিগ্রহের ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ উদ্যাপন হবে গোটা দেশে। সেই উপলক্ষে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারি দফতরে ছুটি ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। এমসের সকল কর্মীদের জানানো হচ্ছে, ২২ জানুয়ারি দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে এই প্রতিষ্ঠান। সমস্ত কেন্দ্রের প্রধান, বিভাগীয় প্রধান, শাখা দফতরগুলিকে কর্মীদের বিষয়টি জানানোর জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’’ যদিও ওই সময় হাসপাতালের জরুরি পরিষেবা এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটগুলি সক্রিয় থাকবে। আউটডোর বন্ধ থাকবে।
স্বাভাবিকভাবেই এ নিয়ে শুরু হয়ে যায় প্রবল বিতর্ক। কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন, মন্দির উদ্বোধনের দিন চিকিৎসার মতো জরুরি পরিষেবা কী করে বন্ধ রাখা যায়। বিরোধী দলগুলির পাশাপাশি চিকিৎসকদের একাংশও এর সমালোচনায় সরব হন। প্রশ্ন উঠছিল, অতিমারি চলার সময়ে মন্দির বা ধর্মীয় উপাসনালয় বন্ধ থাকলেও জরুরি প্রয়োজনে হাসপাতাল খোলা ছিল। অথচ, মন্দির উদ্বোধনের জন্য হাসপাতাল বন্ধ রাখা হচ্ছে।
সেই বিতর্কের জেরে রবিবার নয়া সিদ্ধান্ত নিল দিল্লি এইমস। রবিবারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘রোগীদের যত্নের কথা মাথায় রেখে এবং তাঁদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সে কথা স্মরণে রেখে আউটডোর বিভাগ খোলা থাকবে।” আগে থেকে নাম নথিভুক্ত করানো রোগীরা ওই দিন হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন। এইমস কর্তৃপক্ষ বলছে, রোগীদের যত্নের কথা মাথায় রেখে এবং তাঁদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সে কথা স্মরণে রেখে আউটডোর বিভাগ খোলা থাকবে।