দিল্লিতে ওড়িশার মহিলাকে নির্মমভাবে হত্যা, রাস্তা থেকে দেহ উদ্ধার

রাজধানীতে ফের ন্যক্কারজনক ঘটনা। শুক্রবার সকালে দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির সরাই কালে খানে এক মহিলাকে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে এইমস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পথচারীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ এসে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর ধর্ষণ-সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত ওই মহিলার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়নি।

অভিযুক্তদের সম্পর্কে জানতে নির্যাতিতাকে জিজ্ঞাসাবাদে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। এক পুলিশ আধিকারিক জানান, শুক্রবার সকালে এক পথচারী আহত অবস্থায় মহিলার পড়ে থাকার কথা পুলিশকে জানায়। পিসিআর টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। প্রাথমিক তদন্তে, মেয়েটির গোপনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণের প্রমাণ মিলেছে।

তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা ওড়িশার বাসিন্দা। এক বছর আগে তিনি তার পরিবারকে না জানিয়ে দিল্লি চলে আসেন। দু’মাস আগে কাটোয়ারিয়া সরাই থেকে তাঁকে খুঁজে পায় পুলিশ। এরপর তাঁর পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হলেও তিনি পরিবারের সঙ্গে যাননি। পরে তাঁর মোবাইল হারিয়ে বা চুরি হয়ে যায়। এরপর ওই মহিলার সঙ্গে পুলিশ বা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায়। কখনও এটিএমের বাইরে আবার কখনও অন্য কোথাও ঘুমোতেন তিনি।


শুক্রবার সকালে তাঁকে সরাই কালে খানে আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে এটি ধর্ষণের ঘটনা বলে অনুমান আধিকারিকদের। যদিও ওই মহিলা এখনও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। এমনকী পুলিশকে ঘটনাটি জানাতেও সহযোগিতা করছেন না তিনি। ভারতীয় নৌবাহিনীর এক আধিকারিক ভোর ৩টে ২০ মিনিটে পুলিশকে এই ঘটনার কথা জানান। রক্তমাখা পোশাকে ওই মহিলাকে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে দেখেন তিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে স্থানীয় পুলিশ।