দিল্লিতে পুলিশকে কুপিয়ে খুন, এনকাউন্টারে নিহত মূল অভিযুক্ত

দিল্লিতে পুলিশকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত এনকাউন্টারে নিহত। ঘটনার পর থেকেই সে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। এর আগেই দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার ভোরে পুলিশের মুখোমুখি হয় প্রধান অভিযুক্ত রাঘব ওরফে রকি। আত্মসমর্পণ করার বদলে গুলি চালাতে থাকে সে। এর পরেই পুলিশের তরফেও গুলি চালানো হয়। শনিবার ভোররাতে তিন দুষ্কৃতী কনস্টেবল কিরণপালকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। পুলিশ হত্যার ঘটনায় রাজধানীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কী কারণে কনস্টেবলকে তারা খুন করল, কী উদ্দেশ্য নিয়ে গোবিন্দপুরী এলাকায় তাঁরা গিয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

দিল্লি পুলিশের দেওয়া তথ্যে বলা হয়েছে, দক্ষিণ দিল্লির সঙ্গম বিহার এলাকায় মধ্যরাতে পুলিশ রকিকে শনাক্ত করলে তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলে। কিন্তু তা না করে সে খুব কাছ থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশের দলও পাল্টা গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হয় রকি। পুলিশ তাকে ওখলার ইএসআইসি হাসপাতালে নিয়ে যায়, যেখানে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় পুলিশ ও বিশেষ সেল যৌথভাবে এই এনকাউন্টার চালায়।

উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের বাসিন্দা কিরণ পাল গোবিন্দপুরি থানায় কর্মরত ছিলেন। শনিবার ভোরে তিনি টহলে বের হন। এ সময় তিনি সন্দেহের ভিত্তিতে তিন যুবককে বাধা দিলে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। অভিযুক্তরা ছুরি নিয়ে কনস্টেবলের ওপর হামলা চালায়। সকালে লোকজন ঘুম থেকে উঠে ১৩ নম্বর সড়কের প্রধান মোড়ের কাছে কনস্টেবলকে রক্তে ভেজা অবস্থায় দেখতে পান। লোকজন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। সিসিটিভি ক্যামেরা দেখে তিন অভিযুক্তকে শনাক্ত করে পুলিশ।


ক্রাইম ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত কমিশনার সঞ্জয় ভাটিয়া জানান, কনস্টেবল হত্যা মামলার তদন্তে পুলিশের একাধিক দল নিয়োজিত ছিল। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে, যা থেকে জানা গিয়েছে অভিযুক্তদের মধ্যে একজন দীপক। এসিপি উমেশ বার্থওয়ালের দল গোবিন্দপুরি ডিডিএ ফ্ল্যাট এলাকায় দীপক লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর পায়। তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে ঘিরে ফেলে এবং আত্মসমর্পণ করতে বললে সে পুলিশের ওপর গুলি চালায়। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। গুলিটি অভিযুক্তর পায়ে লাগে, ফলে সে পড়ে যায়। পুলিশের দল হাসপাতালে ভর্তি করে। এরপর অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরেক আসামিকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ।