• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

তিন প্রাক্তন কাশ্মীরি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে শুনানি স্থগিত রাখল দিল্লি হাইকোর্ট

তিন প্রাক্তন কাশ্মীরি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে শুনানি স্থগিত রাখল দিল্লি হাইকোর্ট।সঠিক পদ্ধতিতে আবেদন করার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।

তিন প্রাক্তন কাশ্মীরি মুখ্যমন্ত্রী

দেশদ্রোহিতায় অভিযুক্ত জম্মু ও কাশ্মীরের ৩প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আবেদনের শুনানি আপাতত স্থগিত রাখলো দিল্লি আদালত।ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ফারুক আব্দুল্লাহ এবং তাঁর ছেলে ওমর আব্দুল্লাহ এবং পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতির বিরুদ্ধে দেশবিরোধী প্রচার এবং ধর্মের ভিত্তিতে রাজ্য ভাগের অভিযোগ করেন এক আইনজীবী।লোকসভা নির্বাচন থেকে এই তিন নেতা ও তাঁদের দলকে নির্বাসন দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেন ওই সঞ্জীব কুমার নামে এক আইনজীবী।তবে আবেদনে পদ্ধতিগত ত্রুটি থাকায় মামলার আবেদনকারীকে এদিন আদালত নির্দেশ দিয়েছে অভিযোগের কারণ আদালতের কাছে স্পষ্ট নয়।সঠিক পদ্ধতিতে আবেদন করার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।

উপত্যকার তিন রাজনৈতিক নেতা ফারুখ আব্দুল্লাহ,ওমর আবদুল্লা এবং মেহবুবা মুফতির বিরুদ্ধে দেশবিরোধী এবং ধর্মীয় উস্কানিমূলক প্রচারের অভিযোগ ওঠে।সংবিধান বিরোধী মন্তব্য করার জন্য নির্বাচন কমিশন যাতে লোকসভা নির্বাচনে এই তিন নেতার উপর শর্ত আরোপ করে অথবা নির্বাচন থেকে তাঁদের নির্বাসিত করা যায় তারজন্য আদালতে আবেদন করেন ওই আবেদনকারী। বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট এবং বিচারপতি প্রতীক জালানের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে,’আবেদনকারী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছেন আদালতের কাছে সেই কারণ স্পষ্ট নয়।পদ্ধতি মেনে অভিযোগ জানানো না হলে মামলা প্রত্যাহার করা হবে’।

ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লাহ,তাঁর ছেলে ওমর আব্দুল্লাহ এবং পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির নেত্রী মেহবুবা মুফতি এই তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দেশের বিরোধী স্লোগানের অভিযোগ এনেছেন সঞ্জীব কুমার।এই তিন নেতার বিরুদ্ধে আরও একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ধারায়।

রাজ্যের প্রাক্তন তিন মুখ্যমন্ত্রীর নামে অভিযোগে আরো বলা হয়েছে,লোকসভা নির্বাচনে সেই সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং তাদের নেতাদের অংশ নেওয়া উচিত নয়,যাঁরা গণতন্ত্রকে প্রহসনে পরিণত করেছে।ধর্মের ভিত্তিতে রাজ্যকে হিন্দু এবং মুসলিম দুই ভাগে ভাগ করতে চাইছেন এই রাজনৈতিক নেতারা।এরাই আবার জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য পৃথক দু’জন প্রধানমন্ত্রীও চাইছেন।