দিল্লি, ১৭ জানুয়ারি – এক বিবাহিতার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এক যুবক। মহিলার স্বামীকে গিয়ে যুবক বলেছিলেন, মহিলার স্বামী বিবাহবিচ্ছেদ দিলে তিনি প্রেমিকাকে বিয়ে করবেন। মহিলার স্বামী বিচ্ছেদ দেওয়ার পর প্রেমিকাকে আর বিয়ে করতে রাজি নন যুবক। একে ‘বিয়ের দ্বৈত প্রতিশ্রুতিভঙ্গ’ বলে অভিহিত করে ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করার নির্দেশ দিল দিল্লি হাই কোর্ট।
নিম্ন আদালত যুবককে অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি দেয়। বিচারক জানান, দুই প্রাপ্তবয়স্ক নিজেদের ইচ্ছায় সহবাস করেছেন। একে ‘বিয়ের প্রতিশ্রুতিভঙ্গ’ না বলে ‘বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি’ বলে ব্যাখ্যা করে আদালত। কিন্তু সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে যান ওই মহিলা। বিচারপতি সূর্যকান্ত একে ‘পিকিউলিয়ার স্টোরি’ বলে মন্তব্য করেন। তাঁর পর্যবেক্ষণ, এখানে দু’জনেই বিবাহিত ছিলেন। দু’জনেই পরস্পরকে বিয়ে করবেন বলে তাঁদের সঙ্গীর সঙ্গে বিচ্ছেদ করে নেন। কিন্তু তার পর তাঁরা বিয়ে করলেন না!
মহিলার অভিযোগ, অভিযুক্তকে বিয়ে করবেন বলে তিনি সব রকমভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। তিনি একটি মঙ্গলসূত্র বানিয়ে ছিলেন, যার টাকা দেন অভিযুক্তই। এরপরই আচমকা সিদ্ধান্ত বদল করেন প্রেমিক। এমনকি, তাঁকে বিয়ে করতে বলায় প্রাণনাশের হুমকিও দেন। দীর্ঘ সওয়াল-জবাবের পর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘‘এখানে অভিযোগকারিণী এবং তাঁর স্বামীকে অভিযুক্ত বলেছিলেন যে, তিনি বিয়ে করবেন। এই প্রতিশ্রুতি না দিলে অভিযোগকারিণী হয়তো অভিযুক্তের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতেন না।’’ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ এবং ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু হয়।