দিল্লি, ২২ মার্চ – দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজররিওয়ালকে গ্রেফতারির প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে উত্তাল দিল্লি। বিজেপির সদর দফতরের বাইরে বিক্ষোভ দেখানোর কর্মসূচি নিয়েছিল আম আদমি পার্টি। শুক্রবার দিল্লিতে পথে নামে আপ। আপ নেতা তথা দিল্লি সরকারের দুই মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ, অতিশীকে আটক করা হয়। দিল্লির আইটিও-র কাছে বিক্ষোভ দেখানোর সময় আটক করা হয় অতিশী মারলেনাকে। আরও কয়েকজন আপ নেতাকে আটক করে দিল্লি পুলিশ।আটক করা হয় পাঞ্জাবের মন্ত্রী হরজ্যো বাইনস, দিল্লির আর এক মন্ত্রী ইমরান হুসেনকে। যদিও আপ নেতানেত্রীদের বক্তব্য, তাঁরা শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিবাদ করলেও পুলিশ অন্যায় ভাবে তাঁদের আটক করছে।
অন্যদিকে এদিন সকালে বিজেপির সদর দফতর আইটিও চকে, দিল্লির রাজঘাট ও বিকাশ মার্গের কাছে বিশাল যানজটের সৃষ্টি হয়। কারণ বিজেপির সদর দফতর ও ইডি অফিসের দিকে যাওয়ার রাস্তাগুলি বন্ধ করে রাখা হয়। শুক্রবার সকাল ১০টায় দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরের বাইরে বিক্ষোভ দেখানোর কর্মসূচি নেয় আপ। তাই সবচেয়ে বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয় ওই এলাকাতেই।দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে ১৪৪ ধারা জারির কথা জানিয়েছেন দিল্লি পুলিশের ডিসিপি সেন্ট্রাল এম হর্ষবর্ধন। পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে রাখে। ওই এলাকায় প্রবেশ করলে তাদের আইডি কার্ডও পরীক্ষা করে দেখা হয়। দিল্লি মেট্রো পুলিশের পরামর্শ মেনে আইটিও মেট্রো স্টেশন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় । আপ ও বিজেপির সদর দপ্তরে পৌঁছনোর রাস্তায় জলকামান নিয়ে মোতায়েন ছিল সিআরপিএফ।
দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় পর পর ন’বার সমন পাঠানো হয়েছিল কেজরিওয়ালকে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়েছিল ইডি। কিন্তু তিনি প্রতিবারই হাজিরা এড়িয়ে যান। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। দিল্লি হাই কোর্টে ধাক্কা খাওয়ার পরেই তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যান ইডি আধিকারিকেরা। সেখানে ২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা হয়। পদে থাকাকালীন এই প্রথম দেশের কোনও মুখ্যমন্ত্রী গ্রেফতার হন। কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির পর রাজধানীতে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। তাঁর দল আপ বৃহস্পতিবারই জানায়, পদত্যাগ করছেন না কেজরিওয়াল।